parbattanews

মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে উচ্ছেদকৃত ৪৪ পরিবারকে ৪ বছরের পূর্নবাসন হয়নি


মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী জলাবদ্ধতা নিরসন ও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে উচ্ছেদকৃত ৪৫ পরিবার সহ ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ভাবে সার্বিক সহযোগিতা ও স্থানীয়দের চাকুরী দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জাইকার প্রতিনিধি দল। তবে ৪ বছরে পার হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্নবাসন না করায় জাইকা প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে মজিদিয়া সুন্নীনিয়া আলিম মাদ্রাসার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষে বক্তারা বলেন,  আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখিয়ে জমি জমা প্রকল্পের জন্য দেওয়ার পরে ক্ষতিপুরন পেতে এলও অফিসের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে পাযের সেন্ডেল ক্ষয় হয়ে গেছে কিন্তু উপযুক্ত ক্ষতিপূরন পায়নি।

প্রকল্পে উচ্ছেদকৃত ৪৪ পরিবারের পক্ষে হুমায়ারা বেগম বলেন, ২০১৪ সালে আমাদেরকে ৬ মাসের মধ্যে পূর্নবাসনসহ প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে চাকুরি দেয়ার কথা বলে উচ্ছেদ করা হয়েছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ৪ বছরেও আমাদের কোন ধরনের পুর্নবাসন বা চাকুরি দেয় নি সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়াও ২১ ক্যাটাগরির ক্ষতিপূরনের কথা থাকলেও নামে মাত্র ৪ ক্যাটাগরির ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাইকা প্রতিনিধি দলের পক্ষে মিস্টার হিরতা, মোকাম্মেল উদ্দিন, ফুজি মাগুরি, কোল পাওয়ারের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, কোল পাওয়ারের প্রকৌশলী আনম ওবাইদুল্লাহ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হায়দার, ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, জেলা পরিষদ সদস্য মশারফা জান্নাত, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, মহিলা মেম্বার সকুনতাজ আতিক, সাংবাদিক সাহাব উদ্দিন, ইউপি সদস্য হামেদ হোছাইন ,জাকের হোসাইন ও বদিউল আলম প্রমুখ।

মাতারবাড়ীর স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রকল্পের কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। প্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতারবাড়ীর মানুষদের কোন ধরনের হয়রানী না করে ক্ষতিগ্রস্তদের যেনো দ্রুত ক্ষতিপূরন দেয়া হয়।

Exit mobile version