Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মাতৃভাষায় শিক্ষা নিয়ে সোচ্চার থাকলেও পাহাড়ী সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে গড়িমসি অশ্রদ্ধা অবজ্ঞা প্রদর্শন

মতততত

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট :

সারাদেশের ন্যায় ব্যাপক আয়োজন আর শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মাতুভাষা দিবস পালিত হলেও পাহাড়ী সংগঠনগুলো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে গড়িমসি করেছে। এমনকি জাতীয় এ দিবসে সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের (ল্যান্ড কমিশন) কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।

lkkjio

 খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় অবস্থিত ল্যান্ড কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে শনিবার দুপুর ২টার দিকেও পতাকা উত্তোলিত হতে দেখা যায়নি। পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনের পাশাপাশি ল্যান্ড কমিশনের মতো একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান ভাষা দিবসের প্রতি যে অশ্রদ্ধা আর অসম্মান প্রদর্শন করেছে তা নিয়ে জেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখার দাবী করে এ জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনারও দাবী জানিয়েছে। এদিকে ল্যান্ড কমিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলিত না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, ল্যান্ড কমিশন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মনোয়ার হোসেন আজ বন্ধের দিন উল্লেখ করে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, আমি দীঘিনালায় বেড়াতে এসেছি। পিয়নের পতাকা তোলার কথা, হয়তো খেয়াল নেই তাই উত্তোলিত হয়নি।

`ZK

 অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থি বিষয়ক টাস্কফোর্সের অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও তা নিয়মানুযায়ী অর্ধনমিত না রেখে পূর্ণ উত্তোলন করে রাখা হয়।

 একইভাবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও ২১ ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়নি জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা। তার দল জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা কার্যালয়ে শহীদ দিবসের নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত অবস্থায় উত্তোলিত হওয়ার কথা থাকলেও জেএসএস কার্যালয়ে এদিন কোনো পতাকা উত্তোলিত হয়নি।

11004766_10205183063831470_1413196423_n

মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবীতে পাহাড়ী সংগঠনগুলো সব সময় অত্যন্ত সোচ্চার। প্রত্যেক বছর এ খাতে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে আসে তারা। কিন্তু বাংলাভাষার স্মৃতি বিজড়িত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে তাদের অসযোগিতা পার্বত্যবাসীকে মর্মাহত করেছে। এমনকি এ দিবস পালনের কথা বলে পাহাড়ী সংগঠনগুলোর সহযোগী সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পিসিপি পাহাড়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে। কিন্তু মাতৃভাষা দিবসের দুইদিন আগে তারা সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বয়কটের আহ্বান জানান। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক রিটন চাকমা বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রর্বতনে সরকারের গড়িমসি, পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন-পীড়ন জোরদারের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ নির্দেশনা জারির প্রতিবাদে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পিসিপি প্রভাত ফেরিতে অংশ নেবে না এবং শহীদ মিনারেও ফুল দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।

 আন্তর্জাতিক মাতুভাষা দিবসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসের কর্মসুচী পালনে পাহাড়ী সংগঠনগুলোর অনীহা থাকায় এসব সংগঠনের দেশপ্রেম, দেশাত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাগড়াছড়ির সচেতনমহল। তাদের মতে, সারা বিশ্বে যখন বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে তখন তারা নিজস্ব মাতৃভাষা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। তাদের মতে স্বাধীনতার সুতিকাঘার ভাষা আন্দোলনের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে পাহাড়ের এসব সংগঠন প্রকারান্তরে দেশের স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করেছে।

 এদিকে পাহাড়ী সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন না করা নিয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাস আল মামুন ভুইয়া মুঠোফোনে পার্বত্যনিউজকে জানান, এটি তাদের দেশের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাবের বহি:প্রকাশ। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে বলেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতি তাদের কোন সম্মান নেই। তিনি বলেন, দেশকে ভালোবাসলে দেশের ভাষার প্রতিও সম্মান থাকতো। দেশের বিরুদ্ধে তাদের এ অবস্থান নতুন কিছু নয়। তিনি পাহাড়ীদের এসব দেশবিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে দেশের পাহাড়ী প্রেমিক তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের ভেবে দেখার সময় হয়েছে।

 এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও পাহাড়ের অনিবন্ধিত এসব আঞ্চলিক সংগঠনের কোন নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের পাহাড়ের অনিবন্ধিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আস্তর্জাতিক মাতুভাষা দিবস পালন না করায় পাহাড়েরর সর্বত্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন