মাদকের অবাধ বিচরণে শংকিত পার্বত্যবাসি, ঝিমিয়ে চলছে নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম

2011-06-24-17-47-33-097846300-10

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:

পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে মাদকের ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার ও লেনদেন বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নতুন প্রজন্মের কাছে এটি আর নিষিদ্ধ বস্তু মনে হচ্ছে না। হোরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ হেন কোন মাদক দ্রব্য নেই যা হাত বাড়ালেই এ শহরে পাওয়া যাচ্ছে না। শহর জুড়ে দিনে-রাতে অনেকটা অঘোষিত প্রকাশেই বিক্রি হচ্ছে এসব নিষিদ্ধ ও জিবন বিনাশকারি মাদকদ্রব্য। আর এসব নেশাদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় ও উঠতি বয়সের তরুনদের টোপ হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাজ করছে বিশাল সিন্ডিকেট ও নেটওয়ার্ক। মাদকের ভয়াবহ এ থাবায় শিশু থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সীরা আক্রান্ত। মাদকের এ থাবা বর্তমানে শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও ঢুকে পড়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে এমনকি আইন শৃংখলা বাহিনীর সামনেই চলছে মাদকের জমজমমাট বাণিজ্য। সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যরাও জড়িয়ে গেছে মাদকের ব্যবসায়। মাঝে মধ্যে পুলিশ কিছু ছোটখাটো মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও রাঘব বোয়ালেরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মাদকের ব্যবসা করে রাতারাতি অগাধ অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি।

সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সর্বত্র মাদকের বিস্তার ঘটেছে আশংকাজনক হারে। একদিকে শহরের উঠতি বয়সের তরুণদের মাঝে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মাদকের ব্যবহার আর মাদকের থাবায় পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে অনেকেই। অন্যদিকে শহরে বেড়ে গেছে চুরি, ছিনতাই ও ছোটখাটো অপরাধ। এই ব্যবসার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বেশিরভাগের বয়স ১৬ থেকে ৩২-এর মধ্যে। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও গডফাদারদের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সব জেনেও চোখ বন্ধ করে থাকার নীতি গ্রহণ করেছে। আবার শহরের বেশ কয়েকটি স্পটেই মাদক সেবিদের সাথে পুলিশের কিছু সদস্যকেও মাদক সেবন করতে, এমনকি জয়েন্ট পার্টনারে মাদক ব্যবসাও করতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে মাদকের অবাধ বিচরণ ঠেকাতে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন বলতে গেলে একেবারে অলস সময় কাটাচ্ছে। তাদের চোখের সামনে দিনে-দুপুরে চলছে মাদকের কেনাবেচাঁ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ভাই আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অবহেলার কারণে আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারি না। তিনি জানান, আমরা অধিকাংশ সময় মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে জানতে চাইলে, রাঙামাটি শহরে চোলাইমদ ছাড়া অন্য মাদকের ব্যবহার তেমন একটা নাই বলে রিপোর্ট দেয়। যার কারণে আমরা সঠিক তথ্য বঞ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারি না।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, দুর্দান্ড প্রতাপের সাথে চালিয়ে যাওয়া এই মাদক সিন্ডিকেটকে নানাভাবে ব্যাকআপ দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এই ব্যাকআপের জ্বালানী হিসেবে কাজ করছে নেতাদের বাড়তি পাওনা। মাদকের খুচরা বাজার মধ্যম বয়সী কিছু “বড় ভাই” এতোদিন নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে তারা ব্যবহার করছে অল্প বয়সী কিশোরদের। আড়াল থেকে তাদের হাতে যারা মাদক পৌঁছে দিচ্ছে তারাই মূলতঃ বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠনের খোলস পরে নিজেদের নেতৃত্বের আড়ালে নেতাদের বিভ্রান্ত করছে। মধ্যমসারীর এই নেতাদের রাজনৈতিক কোন উচ্চাভিলাস বা আদর্শ নেই। তাদের একটাই চাহিদা দলের ছত্রছায়ায় থেকে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া। ইতিমধ্যে সরকারদলের ছাত্রসংগঠনসহ কয়েকটি সংগঠনের কয়েকজন নেতা দামি দামি গাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ মালিক হয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পরিচালিত হচ্ছে ভিন্নভাবে।

মাদক বিক্রির তালিকায় বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ইয়াবা। যাকে সেবনকারিরা “গুটি” ও বাবা বলে সম্বোধন করে। এই ইয়াবার প্রধান বাজার হলো শহরের চম্পক নগর হতে শুরু করে পুরাতন বাস ষ্টেশন এলাকা। তারপরেই অবস্থান হলো ফেনসিডিলের। এটার সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে “কাড” এটি সারা শহরেই পাওয়া যাচ্ছে। এরপরের স্থানে রয়েছে হেরোইন (পুইজ্জা)। এটা পাওয়া যাচ্ছে শহরের হ্যাপীর মোড় থেকে শুরু করে পাবলিক হেলথ এলাকা ও শহরের রিজার্ভ বাজারের কয়েকটি স্থানে। তারপরের অবস্থান হলো গাঁজা, যাকে ব্যবহারকারিরা “ষ্টিক” ও কলকি বলেও ডাকে। এই গাজাঁ শহরের প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরাতন বাস ষ্টেশন, নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা হচ্ছে গাজাঁ’র পাইকারি হাট। এছাড়া বর্তমানে সারা শহরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্রি হচ্ছে পাহাড়ি চোলাই মদ, বিয়ারসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য। রাঙামাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ চারটি বাজারের প্রায় প্রতিটি এলাকায় বর্তমানে হাত বাড়ালেই ইয়াবার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে গাজাঁ, হেরোইন, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।

বর্তমান সময়ে মাদকের নিরাপদ হাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে শহরে তবলছড়ি সীমান্তবর্তী নির্জন এলাকাখ্যাত কেরানী পাহাড়। এখানে নদীর কূল ঘেষে পাহাড়ি ঝোপের অভ্যন্তরে প্রতিদিন রাত আটটা থেকে শুরু হয় মাদকের কেনাবেচাঁ ও সেবন। চলে একেবারে গভীর রাত পর্যন্ত। এছাড়া সকাল থেকেই এই এলাকাটি পরিণত হয় স্কুল পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের আড্ডাস্থলে। কারণ তারা বিদ্যালয়ের ক্লাস কামাই করে নিরাপদে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় এই কেরানী পাহাড়ে। বলতে গেলে, বর্তমান সময়ে মাদকসেবিদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে নির্জন কেরানী পাহাড়।

এছাড়া রিজার্ভ বাজার এলাকার মহসিন কলোনী সংলগ্ন মদের মহাল, শুটকিপট্টি মালামাল অবতরণ সিঁড়ি, ভৈরব বাবুর টিলা (নাপ্পি পট্টি), মাছ বাজার, ইসলামপুর, নাজ্জুর ঠোডা, রাঙামাটি পার্কের আশপাশের এলাকা, বরিশাইল্লা বুইজ্জার টিলা, শহীদ মিনার এলাকা, নীচের রাস্তার ট্টাক সমিতির অফিস সংলগ্ন সিড়িঁ, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমীর সংলগ্ন একটি ক্লাব, পৌর ট্রাক টার্মিনালের সিঁড়ির নীচে ও রাঙামাটি পৌর বাস টার্মিনালের টয়লেটের পাশের এলাকাগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এমনকি কখন কখনও দিনের বেলাতেও চুটিয়ে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা চলছে।

মাদক কেনা-বেচায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শহরের বনরূপা থেকে শুরু করে ভেদভেদী পর্যন্ত এলাকাটি। এই এলাকায় পৌরসভার পেছনে উন্নয়ন বোর্ডের রেষ্ট হাউজ সংলগ্ন চিপাগলি, মাছ চাষের গোদা, ফরেষ্ট কলোনী, কাঠালতলীর ধোপাপাড়া গলি, কৃষি বিভাগের সারের গুদামের পেছনের এলাকা, আবু ছৈয়দের কাঠের মিল, হোটেল শাপলার নিচে, হ্যাপীর মোড় এলাকা, সদর উপজেলা অফিসের পার্শ্বোক্ত ডাইল বদির বাসা এবং রেডিও ষ্টেশন এলাকা। এসব পয়েন্টে গাজাঁ, ইয়াবা থেকে শুরু করে সবধরণের মাদকদ্রব্য অনায়াসে পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। ৩০জন ব্যবসায়ী পরিচালনা করেন ফেনসিডিল ও ইয়াবার ব্যবসা। ফেনসিডিলের চালান আনা হয় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা থেকে। ইয়াবা আনা হয় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, হাটহাজারি, সিলেট ও ঢাকা থেকে। রাঙামাটি শহরে প্রতিদিন হাজারো ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল বিক্রি হয়। লাখ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে ইয়াবা’র ব্যবসা পরিচালনা করছেন শহরের নামকরা বেশ ক’জন ব্যবসায়ী। শহরের নামকরা ব্যবসায়ীদের নাম রয়েছে এ তালিকায়। এছাড়া শুধুমাত্র ফেনসিডিল বিক্রি করে কিংবা পুঁজি খাটিয়ে অনেকেই এখন কোটিপতি হয়েছেন এমন নজির রয়েছে এ শহরেই। নানা ব্যবসার আড়ালে তারা মূল ব্যবসা হিসাবে মাদক বিক্রিই বেছে নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

সাধারণতঃ সন্ধ্যার পর মোটর সাইকেল যোগে রাঙামাটিতে ঢুকে মাদকের চালান। নির্ধারিত কমিশনের মাধ্যমে তিন থেকে ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম থেকে মাদকের চালান রাঙামাটিতে নিয়ে আসে। তাদের কাজ শুধু পৌঁছে দেওয়া। আরেকটি সিন্ডিকেট রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা মাদকগুলো এলাকাভিত্তিক পয়েন্টগুলোতে সরবরাহের জন্য। এরপর যায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। উল্লেখিত এলাকাগুলোতে চায়ের দোকান, কুলিং কর্ণার, পানের দোকান, মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, সিডির দোকান, আবাসিক হোটেলের আড়ালে অস্যংখ্য খুচরা মাদক বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অনেকটা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মাদক। চলে অবিরাম বিক্রয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাঝে মাঝে দুয়েকজন আটক হলেও আইনের ফাকঁফোকর অথবা বড়ভাইদের তেলেসমাতিতে বেরিয়ে আসে ক’দিন বাদেই। আবারও শুরু হয় দেদারসে বাণিজ্য। এসব মাদক সিন্ডিকেটের পাতানো মাদকের জালে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে রাঙামাটি শহরের কয়েক’শ তরুণ। মাদকের রাহু চক্রে আবদ্ধ হচ্ছে নতুন নতুন তরুণ ও ছাত্ররাও। এরই সুফল হিসেবে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং সহ বিভন্ন অপরাধ।

এদিকে বেসরকারি একটি সংস্থার জরিপ মতে, শুধুমাত্র রাঙামাটি শহরেই মাদকসেবী রয়েছে প্রায় দুই হাজার। পুলিশ মাঝে মধ্যে ইয়াবা ও ফেনসিডিল চালানসহ মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও এদের গডফাদার কিংবা মূল ব্যবসায়ীদের আটক করতে সক্ষম হয়না। মাঝে মধ্যেই তারা অভিযান চালিয়ে আটক করে মাদক ব্যবসায়ীদের। যদিও আইনের ফাঁক গলে তারা মুক্তি পেয়ে ফের তাদের পুরনো পেশায় ফিরে যায়।

অন্যদিকে শহরে মাদকের ভয়াবহতা দিনদিন বাড়লেও মাদক নিয়ে বেসরকারি কোনো সংস্থাও কাজ করছে না। অথচ রাঙামাটিতে প্রায় হাজার খানেক এনজিও কর্মরত রয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রকার অপরিচিত কর্মসূচী পালন করলেও মাদকের ভয়াবহতা ও মাদকসেবীদের নিয়ে তাদের কোনো কর্মসূচী পরিলক্ষিত হয়না। এছাড়া মাদকদ্রব্য ও মাদকসেবীদের নিয়ে কাজ করা “মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন” নামে একটি বেসরকারি সংগঠন থাকলেও বর্তমানে তারাও ঝিমিয়ে পড়েছে।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানা সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে থানায়, মাদকের মামলা হয়েছে মাত্র ২১টি আর এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৯ জন। আর এই সময়ের মধ্যে পুলিশ প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকারও উপরে মাদক আটক করেছে।

রাঙামাটি পুলিশ বিভাগের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসপি সার্কেল) মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যসহ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বেশ কিছু সমস্যার কারণে মাদকের অবাধ বিচরণ একবারে নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জনবলের পাশাপাশি গাড়ির তীব্র সংকট থাকায়, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে পারছিনা। সমাজকে মাদক মুক্ত করতে সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি জানান, যত বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্কই থাকুক না কেন, আমরা কোনো প্রকার নমনীয়তা দেখাবো না। মাদকের ব্যাপারে কোনো প্রকার সুপারিশের তোয়াক্কা না করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জেলার পুলিশ সুপারের স্পেশাল নির্দেশনাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাঙামাটি শহরে মাদকের অবাধ বিচরণ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করলে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা রাঙামাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারি পরিচালক আলী হায়দার রাসেল জানান, ভাই আমাদের লোকবল ও ইকুইপমেন্টের অভাবে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারিনা। তাছাড়া আমরা অনেক সময়ই আমাদের কর্মীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাইনা যার কারণে দুর্নামের বোঝা টানতে হচ্ছে আমাদের। তিনি বলেন, আমি রাঙামাটিতে যখনই আমার অধনস্থদের কাছে জানতে চাই মাদকের ব্যবহার সম্পর্কে, তারা আমাকে সঠিক তথ্য কখনোই দেয় না। তাদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে আমাকে থাকতে হচ্ছে। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এত বড় এটা চট্টগ্রাম বিভাগ অথচ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকবল একেবারে নাই বললে চলে। তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, আমাদের জন্য সুখবর হলো আমাদের অধিদপ্তরকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন