মাদক মুক্ত হল না কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়ন

কুতুবদিয়া সদর বড়ঘোপ ইউনিয়ন মাদকমুক্ত ঘোষণা দিয়েও তা সমম্ভব হলো না।  ৩১ ডিসেম্বরে‘২০ মধ্যে এ ইউনিয়নটি শতভাগ মাদকমুক্ত ঘোষণা করার কথা দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান।

কিন্তু স্থানীয় ৪টি মাদক মামলার আসামি এক দম্পতিসহ একাধিক মাদক ব্যবসায়ির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।

জানা যায়, বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি আবু জাফর প্রকাশ জুনাইয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় মদ, গাঁজা, ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিল।

বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অভিযানে সে ৪ বার মাদকসহ আটক হয়। থানায় ৪টি মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি কুতুবদিয়ায় মাদক প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যে কারণে বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দীন ছোটন গত ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে এ ইউনিয়নটি মাদকমুক্ত ঘোষণা করার প্রস্তুতি নেন। মাদক ব্যবসা ছেড়ে না দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ি আবু জাফর ও তার স্ত্রী রিনা আক্তারের বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার,মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক,আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্র, পেশাজীবিসহ ৫০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দেয়া হয়।

তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আবু জাফর মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন করতেন। ৪টি মামলার পর ব্যবসা এখন প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।

উপজেলা মৎস্যজীবি ফেডারেশন সভাপতি আবুল কালাম জানান, বড়ঘোপ ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করার অন্তরায় ছিল মাদক ব্যবসায়ি আবু জাফর। কাজেই এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসি ডিসি ও এসপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছেন। বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দীন চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়নের প্রায় সকল স্থানে মাদক বেচাঁ-কেনা বন্ধ।

অমজাখালীর মাদক ব্যবসায়ি আবু জাফর গোপনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় তিনি সময়মত তার ইউনিয়ন মাদক মুক্ত ঘোষণা করতে পারেননি। তবে যে কোন মূল্যে তিনি সফল হবেন বলেও জানান।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, বড়ঘোপ ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণার একটি প্রক্রিয়া চলছিল। ৪ নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ি আবু জাফর (৪২) ৪ বার মাদকসহ আটক হয়ে ৪টি মামলার পরেও সে ব্যবসা ছাড়েনি বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় আরো একটি জিডি রয়েছে বলে জানান তিনি।