মানিকছড়িতে অসহায়দের মাঝে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ বিতরণ

fec-image

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বিধি-নিষেধে মানুষজন গৃহবন্দির ১৫ দিন অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। এ সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কারোরই হাতে কর্ম নেই। এমন সংকট মূহূর্ত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেন।

বুধবার(৮এপ্রিল) মানিকছড়ি উপজেলায় এক হাজার পরিবারের জন্য প্রেরণ করেছেন চাল,ডাল,পেঁয়াজ,তৈল,আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতি ‘করোনা’ প্রতিরোধে দেশব্যাপি চলছে ঘোষিত ও অঘোষিত লকডাউন। ফলে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বত্রই মানুষজন গৃহেবন্দি! সমাজের হত-দরিদ্র, অতি-দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সকলেই বাসাবাড়িতে খাদ্য সংকটসহ দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছে।

এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন সরকারের জি.আর বরাদ্দ থকে ২কিস্তিতে উপজেলার ২হাজার পরিবারের মাঝে ২০মে.টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকার শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন।

কিন্তু উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষজনের মধ্যে ২ হাজার পরিবারে সর্বোচ্চ ৮/১০ হাজার মানুষ ত্রাণের সুবিধা পেয়েছে! অন্যরা এখনো সরকারি সুবিধা পায়নি। যার ফলে ত্রাণের অভাবে মানুষজন দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছিল।

এ অবস্থায় ৮ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয় থেকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১ হাজার পরিবারের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ১ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী। প্রতি প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তৈল,আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী।

উপজেলার চার ইউনিয়নে জনসংখ্যানুযায়ী ১ নং মানিকছড়িতে ৩৫৫ প্যাকেট, ২নং বাটনাতলী ইউপিতে ২০৩ প্যাকেট, ৩নং যোগ্যাছোলা ইউপিতে ১৮৬ প্যাকেট এবং ৪নং তিনটহরী ইউপিতে ২৫৬ প্যাকেট ত্রাণ-সামগ্রী ৮ এপ্রিল সকালে বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার, মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন, যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামু, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, মো. শহিদুল ইসলাম মোহন, ক্যয়জরী মহাজন ও মো. আবুল কালাম আজাদসহ ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার ত্রাণ বিতরণ উদ্বোধনে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘করোনা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি প্রতিদিন তৃণমূলে মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়সহ সকল উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবে গৃহবন্দী লোকজনের মাধ্যে আমরা ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ২০ মে.টন খাদ্যশষ্য (চাউল)ও ১লক্ষ টাকার শুকনা খাবারসহ বিশিষ্টজনদের নিকট থেকে প্রাপ্ত কিছু ত্রাণও বিতরণ চলমান রেখেছি।

আরো সরকারি বরাদ্দ লাইনে রয়েছে। আশা করছি সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন