মানিকছড়িতে কোরবানীর চামড়া পানির দর, প্রতি পিস গড়ে ৭০ টাকা
মানিকছড়ি-লক্ষীছড়ির কোথাও কোরবানীর চামড়া বিক্রি করতে পারেনি কোন কোরবানীদাতা। ফলে ডেকে মাদরাসায় দিলেও তারা চামড়া নিয়ে বিপদে পড়েছে। শেষমেষ প্রতি পিছ চামড়া গড়ে ৭০-৮০ টাকা হারে বিক্রি করে দিয়েছে। বিগত ৩ দশকে চামড়ায় এমন ধস কেউ দেখেনি!
মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় এবার সব মিলিয়ে কোরবানী হয়েছে চারশতাধিক। প্রতি ঈদুল আযহায় চামড়া কিনতে স্থানীয় এবং সমতলের চামড়া ব্যবসায়ীরা দুয়ারে, দুয়ারে কম- বেশি ভীড় করলেও বিগত ৩ দশকে এবারই চামড়া বেচা-কেনায় ধস নেমেছে। কোরবানীদাতারা মাদরাসা হুজুরদের( শিক্ষক) ডেকে, ডেকে বিনা পয়সায় চামড়া ধরিয়ে দিলেও শেষমেষ এসব চামড়া বিক্রিতে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে হুজুরদের! পরে গড়ে প্রতিপিস চামড়া ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ!
মানিকছড়ি দারুচ্ছুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রবীণ শিক্ষক মাও. নুর মোহাম্মদ জানান, কোরবানীর চামড়া নিয়ে এমন অনাগ্রহ আমি ৩০ বছরেও দেখিনি! সকাল থেকে চামড়া কিনতে কিংবা চামড়ার খবর কেউ নেয়নি। কোরবানীদাতারা আমাদের ডেকে চামড়া দিয়েছে। আমাদের দারুচ্ছুন্নাহ মাদরাসায় ছাগল ও গরুর প্রায় ২শ চামড়া জমা সংগ্রহ হয়েছে। এসব চামড়া নষ্টের আশংকায় মাত্র ৭০ টাকা পিস হিসেবে স্থানীয় একজন মৌসুমী ব্যবসায়ীকে অনেকটা চাপিয়ে ( অনুরোধ) দিয়ে দিয়েছি!
তিনটহরী মহিসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাও. ফরিদ মিয়া জানান, কোরবানীদাতাদের দানকরা চামড়া সংগ্রহের পয়সাও বিক্রিতে পাইনি! ১৫২ পিস চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। গচ্ছাবিল জমিরিয়া মাদরাসায় সংগ্রহ হয়েছে ৪০টি। এসব চামড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীকে গড়ে ৮০ টাকা হারে দিয়ে দিয়েছি। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে!