মানিকছড়িতে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর মামলায় যুবলীগ নেতা কারাগারে

xcdf5

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট॥
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ও যুবলীগ নেতা রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগ করেছে একই দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। আর এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ায় উপজেলা  ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলামের স্ত্রী রুবি আক্তারের মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন যুবলীগ নেতা রফিকুল আলম।

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে একই দলের  আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাদের হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এবার আতংকের মধ্যে রয়েছে এই মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভূক্তভোগী মানিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম জানান, গত ১৬ মার্চ যুবলীগ নেতা রফিকুল আলম ও বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুরের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে ৫ নেতাকে গুরুতর আহত করে। পরে আহতরা মানিকছড়ি হাসপাতালে ভর্তি হন। হামলার ঘটনায় আসাদুলের স্ত্রী রোজী আক্তার মানিকছড়ি থানায় মামলা করলে পুলিশ যুবলীগ নেতা রফিকুলকে গ্রেফতার করে, আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

নিজ দলের এসব নেতা কর্মীদের হামলার মামলা ও হত্যার হুমকিতে আতংকিত হয়ে বসবাস করছে ক্ষমতাসীন দলের এ পাচঁ পরিবারের সদস্যরা।  

মানকিছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে খাস ভুমি নিরীহ মানুষ থেকে অল্প দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে এখন সে শত শত একর ভুমির মালিক । সম্পদের মোহে এখন সে উপজেলার কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেনা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনু্দ্দীন জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কৃত করা হাফিজুরকে দলীয় প্রশ্রয় দিয়ে নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করাচ্ছেন আবুল কালাম। যা দলের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ দিকে উপজেলার চেঙ্গুপাড়া এলাকায় প্রায় ২৫০একর রাবার বাগান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কৌসুলে আবুল কালাম নিজের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে টিআর কাবিখাও পার্বত্য জেলা পরিষদের বরাদ্ধকৃত খাদ্য শষ্য যথাযথভাবে কাজ না করে বিল তুলে আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। আবুল কালাম যার আগের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায়। তার পূর্ব নাম ছিল আব্দুল রাজ্জাক ফরায়েজি।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়। হাফিজুর আমার আত্মীয় কিন্তু তাকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দেই নাই। বরং উল্টো তারাই হাফিজুরকে প্রশ্রয় দিয়ে আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আর ভূমির বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো ক্রয় করা হয়েছে। কাগজপপত্র রয়েছে। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
 
মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী জানান, হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় একজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন