মানিকছড়িতে ছিনতাই মামলায় আটক ২ : খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার
ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে মানিকছড়ি থানা পুলিশের চৌকস অফিসারদের সাহসিকতা ও দূরদর্শিতায় ছিনতাই ঘটনায় জড়িত দুই আসামি আটক এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে লুন্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে মানিকছড়ি থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর রাতে উপজেলার কর্নেল বাগান এলাকায় বাজার ফেরত ৪ ব্যবসায়ীর গতিরোধ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে ওই ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, একটি পালসার মোটর সাইকেল ও ৫ টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার সাথে সাথে মানিকছড়ি থানা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ঘটনাস্থলের আশে-পাশে রাতভর অভিযান চালিয়ে খেলনা পিস্তলসহ তাৎক্ষণিক ২ সন্দেহভাজনকে আটক করেন।
পরে ব্যবসায়ীরা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ছিনতাকারীদের আসামি করে মানিকছড়ি থানায় ৩৯৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৩,তারিখ ৩১.১০.২০২০ খ্রি.। এরপর পুলিশের চৌকস সার্কেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন মামলাটি তদন্তে এসআই মো. আক্কাছ আলীকে নিয়োগ করেন। এরপর হতে ওসি তদন্ত মো. আমজাদ হোসেন, এএসআই মিশন চৌধুরী ও এএসআই মাহবুব হাসান সম্পৃক্ত হয়ে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।
দীর্ঘ ১৯দিন অভিযানে গত ১৮ নভেম্বর ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুই ছিনতাইকারী থুইসাচিং মারমা(১৯) ও মো. ফয়সাল আহম্মেদ(২৪)কে আটক করতে সক্ষম হন এবং আটক ব্যক্তিদের তথ্যমতে চট্টগ্রাম জেলার রাউজার উপজেলার বৃন্দাবন নামক এলাকা থেকে লুন্ঠিত পালসার মোটর সাইকেলটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
আটক ছিনতাইকারী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আক্কাছ আলী। অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন জানান, ঘটনার পর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সার্কেল)এর দিকনির্দেশনায় অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে যৌথ টিম গঠন করি এবং তাদের তৎপরতায় ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার এবং ঘটনায় সরাসরি জড়িত ২জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি মোবাইলগুলোও উদ্ধার করা যাবে।