ক্রেতার পছন্দীয় পোশাক সংকট দোকানী

মানিকছড়িতে তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে ঈদ কেনাকাটায় ভীড়

fec-image

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রাচীন রাজবাজারে ঈদের কেনাকাটায় নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ও যুবক-যুবতীরা স্মরণকালের দাবদাহ উপেক্ষা করে ভীড় জমিয়েছে। রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে কেনাকাটায় আসা মানুষজন বঙ্গবাজারের প্রভাব ও অর্থনৈতিক ধার-কর্জ উপেক্ষা করে কাপড়-চোপড়, জুতা ও কসমেটিকস কিনতে ভুল করেনি। বাজারে ক্রেতার বেসামাল ভীড়ে দোকানিরাও যে যার মতো করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। বিশেষ করে ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর গড়ে ৩০% দাম বেড়েছে ঈদ পণ্যের! ক্রেতার পছন্দীয় পোশাক সংকট দোকানী!

উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ৮০% মানুষ কৃষিজীবী। তারা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির পাশাপাশি অন্যের জমিতেও শ্রম বিনিময় এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় অর্জিত অর্থ দিয়ে সংসারে স্ত্রী, কন্যা, পুত্রের মনে ঈদ আনন্দ দিতে সব বিলিয়ে দেন। গাড়ি ভাড়া করে শহরে বা উপ-শহরে যাওয়ার স্বপ্ন না দেখে স্থানীয় বাজারে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করেন। ফলে দোকানিরাও এখানকার মানুষের চাহিদা ও রুচি বিবেচনায় কাপড়-চোপড়, জুতা ও প্রসাধনীর সমাহার ঘটান।

গত বছরের চেয়ে এবার সব পণ্যর মূল্য অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে স্বীকার করেছেন।

জেন্টস পার্কের স্বত্তাধিকারী মো. মাহবুব আলম জানান, রোজার শুরুতে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে কেনা মালামাল এবং বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর কেনা মালের মধ্যে দাম ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি। কিন্তু এতেও গ্রাহক অখুশি না। তারা পরিবারে ঈদ আনন্দ দিতে ঋণ করেও কেনাকাটা সেরে নেয়।

‘মনে রেখো’র স্বত্তাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বছর কেনাকাটায় কমতি নেই। মানুষের মাঝে অভাব অনুভব হচ্ছে না। ১৫ রমজান থেকে কাপড়ের দোকানে বেসামাল ভীড়।

আরেক কাপড় দোকানদার আহাদান বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যাপ্ত কাপড়চোপড় পাওয়া যাচ্ছে না! ফলে ক্রেতারা এ দোকান, ও দোকানে ঘুরে-ফিরে পছন্দীয় পোশাক কিনছে।

‘জ’ অদ্যাক্ষরের এক নারী উদ্যোক্তা বলেন, রমজানের আগে যে কাপড়ের গজ ৬০ টাকা। তা এখন ৯০ টাকা! এভাবে সব কাপড়-চোপড়, জুতা ও প্রসাধনীর দাম গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি নিচ্ছে দোকানীরা!

অনামিকা স্টোরের স্বত্তাধিকারী অরুণ কুমার নাথ বলেন, পাহাড়ে বৈসাবি ও ঈদকে ঘিরে প্রসাধনী বিক্রিতে এবার স্বস্তি পেয়েছি। এক সাথে দুই উৎসব হওয়ায় বেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ হয়েছে।

বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল কাদের বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাজারের কোন দোকানদার যাতে ক্রেতা হয়রানি না করে সে বিষয়ে একাধিকবার ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে ঠকিয়ে বা জুলুম করার মতো অভিযোগ পাইনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন