parbattanews

মানিকছড়িতে দুর্বৃত্তের আগুনে বসত ঘর ভস্মীভূত

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার লেমুয়া এলাকায় রাতের আধাঁরে একটি নিরীহ পরিবারের বসত ঘরে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা! ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় বাঁধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তের দা’য়ের কুপে আহত হন জরিনা বেগম নামক বিধবা এক নারী। ফলে আগুনে বিধবা মহিলার বসত ঘর ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত জরিনা বেগম।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লেমুয়া এলাকায় জনৈক মো. শাহ আলম ক্রয় সূত্রে টিলা ভূমি কিনে তাতে একাধিক ঘর তুলে পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। একই জায়গা জনৈক মোহাম্মদ মানিক তার নিজের দাবি করে আদালতে মামলা রজু করেন। কিন্তু দখলে থাকা মো. শাহ আলম তার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে একজন অসহায় বিধবা নারীকে পাহারাদার (কেয়ারটেকার) হিসেবে আশ্রয় দেন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ৫থেকে ৬জনের একদল দুর্বৃত্ত কেয়ারটেকার জরিনা বেগম (৫২) ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দিতে চাইলে জরিনা আত্মচিৎকার দিয়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন! এতে জরিনা বেগমের হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।

এদিকে ঘরে লাগিয়ে দেয়া আগুনে জরিনার বসত ঘরটি অনায়াসে পুড়ে ছাই হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই আগুনে সব ভস্মীভূত হয়! পরে লোকজন এগিয়ে এসে আহত জরিনা বেগম (৫২)-কে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক জরিনার বাম হাতে ৭ থেকে ৮টি সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে শনিবার সকালে জরিনা বেগম ঘটনার জন্য মোহাম্মদ মানিকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহনূর আলম আগুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লেমুয়া এলাকার আগুনে পুড়া ঘরের জায়গাটির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তের আগুনে একটি ঘর ভস্মীভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জরিনা বেগম ও মোহাম্মদ মানিক এ ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে বলে জনা গেছে।

Exit mobile version