parbattanews

মানিকছড়িতে পাষণ্ড গর্ভধারণী কর্তৃক শিশুকে জবাই করে হত্যা

ততততততত

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়ি উপজেলার এয়াতলংপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম এর স্ত্রী রওশন আরা বেগম কর্তৃক গর্ভধারণী সন্তান মাঈন উদ্দীনকে (১০) জবাই করে হত্যা করা হয়েছে! পুলিশ ঘাতক রওশনয়ারাকে আটক করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এয়াতলংপাড়ার আবদুর রহিম এর নির্জন বাড়ীতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে গৃহকর্তী রওশনয়ারা বেগম(৩০) ঘরের সামনে উঠানে একমাত্র পুত্র মো. মাঈন উদ্দীনকে(১০) ধারালো ‘দা’ দিয়ে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে। এ নিহতের গলা শরীর থেকে শরীর সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়।

ছেলেকে হত্যার পর ঘাতক ‘মা’ পাশের বাড়ীতে ছেলেকে জবাই করে হত্যার কথা জানায়। ইতোমধ্যে স্বামী বাজার থেকে বাড়ীতে গিয়ে ঘরের সামনে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার প্রতিবেশিদের শরণাপন্ন হলে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।

খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানার এস.আই মো. হেলাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঘাতক মহিলা রওশনয়ারা বেগম অপকটে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশকে জানায়, তার প্রথম স্বামী মহরম আলী তাকে তালাক দিলে ১বছর বয়সী মাঈন উদ্দীনকে (নিহত) নিয়ে বর্তমান স্বামী আবদুর রহিমের নিকট বিয়ে হয়।

ফলে ঘাতক মা রওশনয়ারার ধারণা হয় তার মৃত্যুর পর বর্তমান স্বামী ছেলেটিকে হয়তোবা ভালোভাবে
দেখাশুনা করবে না। এ আশংকা থেকেই শনিবার সকালে স্বামীর অবর্তমানে ছেলেকে জবাই করে হত্যা
নিশ্চিত করেন।

পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক মহিলাকে আটক থানায় নিয়ে আসে। প্রতিবেশিরা জানায়, ঘাতক রওশনয়ারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। প্রায়ই সে অসংলগ্ন আচরণ করত।

এস.আই মো. হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন মা ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করতে
পারে সেটি ভাবা সত্যিই কঠিন। তবে মহিলা কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তার স্বীকারোক্তি এবং প্রাথমিক তদন্তের আলোকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Exit mobile version