parbattanews

মানিকছড়িতে প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে

বাদামের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি চীনা বাদাম। এটি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। আর এই সুস্বাদু খাবার চীনা বাদাম চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ হালদা চরের কৃষক। যেখানে বিগত রবি মৌসুমে তামাক চাষ করা হতো আজ সেই জমিতে চীনা বাদাম চাষে সফলতা দেখিয়েছে মানিকছড়ি’র প্রান্তিক চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাদামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার চীনা বাদাম। এটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবণা কম থাকে। এই চীনা বাদামে ১৫৮ ক্যালোরি, ৪.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,৭.১ গ্রাম প্রোটিন,১৩.৬ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। এছাড়া চীনা বাদামে থাকা আয়রণ ও জিংক দেহ সুস্থ রাখতে অনেক সহায়ক। এটি রক্তে খারাপ চর্বি বা কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে আরো রয়েছে খনিজ ম্যাগনেসিয়াম, যা ত্বক ও চুল মসৃণ করার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়িকে মজবুত রাখে।

অনেক গুণে গুনান্বিত এই চীনা বাদাম চাষে এবার সফলতা দেখিয়েছেন মানিকছড়ির বেশ কিছু কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস ও আইডিএফ হালদা প্রজক্ট যৌথভাবে হালদাচরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের নিয়ে বাদাম চাষে পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনায় এশিয়া মহাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃত ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ হালদার উজান ছদুরখীল, গোরখানাসহ উপজেলার ডিপি পাড়া, বরইতলী, লেমুয়া, এয়াতলংপাড়া, তিনটহরী, গাড়ীটানা এলাকায় চলতি রবি মৌসুমে প্রায় ২হেক্টর জমিতে বারি-৮ জাতের চীনা বাদাম চাষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হেক্টর প্রতি ফলন ২.২০ মে.টন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান জানান, বিগত ২০১৯ সাল থেকে এখানের প্রান্তিক চাষীরা অল্প, অল্প পরিসরে বাদাম চাষ করত। এবারই প্রথম বড় আকারে বেশ কয়েকজন কৃষককে বাদাম চাষে প্রশিক্ষণ ও বীজ সহায়তা দেয়ায় তারা সফলতা দেখিয়েছেন। আশা করছি আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হবে এবং আমরা তাদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবো।

Exit mobile version