parbattanews

মানিকছড়িতে বিএনপির সভায় দুর্বৃত্তের হামলা আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুতিমূলক সভা ও যোগদান অনুষ্ঠান চলাকালে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘটিত হামলায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল।

১৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতি সভা এবং এক সময়কার ছাত্রদল কর্মী ( বর্তমানে আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত) মো. আমির হোসেন, পিতা- মো. নূরেজ্জামান মাস্টার, ও মো. দেলোয়ার হোসেন, পিতা- অজ্ঞাতের নেতৃত্বে ১০/১২ জন কর্মী বিএনপিতে ফিরে আসার (যোগদান) কর্মসূচি চলছিল। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির ওই সভায় হামলা চালিয়ে বিএনপির আ্বায়ক মো. এনামুল হক, যুগ্মি আহ্বায়ক মো. আবুল কাশেম, মো. নূরেজ্জামান, অলি উল্লাহ, সদস্য তোফাজ্জেল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা মীর হোসেন, যুবদল নেতা মো. মোশাররফ হোসেনসহ ২০/২৫জন নেতাকর্মী কমবেশি আহত হয়।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটি আওয়ামী লীগের চক্রান্ত বলে দাবি করে বলেন, আমরা আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে এবং আওয়ামী পরিবারের( বিএনপির সাবেক কর্মী) ১০/১২ জন কর্মী আজ বিএনপিতে যোগদান করা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৫টার দিকে ২০/৩০ আওয়ামী লীগ কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের অন্তত ৩০/৩৫ জন সিনিয়র নেতাকর্মীকে কমবেশি আহত করে। নিরাপত্তার অভাবে আহত সবাইকে অস্থায়ী কার্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে বিএনপির আভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব ও কোন্দলে থাকা বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘটিত হামলায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলমসহ শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দলীয় অফিস থেকে বাজারসহ বিভন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম জানান, বিএনপির সভা বা কর্মসূচি সম্পর্কে আগে পুলিশকে অবহিত করা হয়নি। এমনকি ঘটনার পরও বিএনপির কোন নেতা এ বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানায়নি। গোয়েন্দাসূত্রে সভা চলাকালে মারধর ও হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। এলাকায় নিরাপত্তার বাড়ানো হয়েছে।

Exit mobile version