parbattanews

মানিকছড়িতে ব্ল্যাক রাইচ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষক

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এই প্রথম ব্ল্যাক রাইচ বা কালো চালের ধান উৎপাদন শুরু হয়েছে। চাষের শুরুতেই ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মনে স্বস্তি এসেছে। ক্ষেতে ফলন দেখে লক্ষমাত্রা অর্জনে সফলতা আশা করছেন কৃষিবিদগণ।

এক সময়ে চীনা রাজপরিবারগুলো এই ব্ল্যাক রাইচ ধানের চাল ব্যবহার করতো। সাধারণ নাগরিকদের জন্য ছিল এটি অধরা বা নিষিদ্ধ! যার ফলে এটি ব্ল্যাক রাইচ নিষিদ্ধ পণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কালের আর্বতে নানা গুনে গুনান্বিত এই ব্ল্যাক রাইচ ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এ চালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ধমণি পরিষ্কার রেখে হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে, দেহকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে, হজমে সাহায্য করে, রক্তে চিনি শোষণের পরিমান কমিয়ে ডায়াবেটিস রোধে সাহায্য করে, সাধারণ চালের চেয়ে এটিতে ক্যালোরি কম থাকার কারণে স্হূলতা প্রতিরোধ করে।

এছাড়া আয়রণ, কপার এর মতো খণিজ এর খুব ভালো মানের উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। ফলে ব্ল্যাক রাইচ বা কালো চালের এই ধান সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে যাচ্ছে।

চলতি অর্থ বছরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এই প্রথম একজন কৃষক ৫ বিঘা জমিতে ব্ল্যাক রাইচ (ফিলিপাইন) চাষ করেছে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার কুমারী সড়কস্থ বিলে গিয়ে দেখা গেছে কৃষক মানিক মিয়া ব্ল্যাক রাইচ ক্ষেতের পরিচর্চা করছেন।

এ সময় কৃষক মানিক মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এই ব্ল্যাক রাইচ বা কালো চালের ধান বীজ পেয়েছেন। সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ তাকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছিন। ফলে জমিতে ফলন ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আগামী এক মাস পর ধান কাটা যাবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন কাউচার আফ্রাদ জানান, উপজেলায় এই প্রথম ব্ল্যাক রাইচ বা কালো চালের ধান চাষে একজন কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করে সফল হয়েছি। আশা করছি আগামীতে এই ব্ল্যাক রাইচ(ফিলিপাইন) চাষে এখানকার আরেও কৃষক সম্পৃক্ত হবে।

Exit mobile version