মানিকছড়িতে ৩ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, ১৪৪ ধারা অব্যাহত , আটক ১০

images

মো:আলমগীর হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ

বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন রবিবার (২৭অক্টোবর) মানিকছড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে। পুরো উপজেলায় ১৪৪ ধারা অব্যাহত থাকলে ও থেমে-থেমে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছেই।

১৪৪ ধারা জারির কারণে সোমবার সকাল থেকেই সর্বত্র স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যায়।  বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট তেমন খোলেনি। বিভিন্নস্থানে থেমে থেমে বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সকাল সাড়ে ১১টায় একসত্যাপাড়াস্থ রহমান নগরে দোকানে হামলা করে বিএনপি কর্মীরা। খবর পেয়ে আ’লীগ সভাপতি , সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ও.সি ও ইউএনও এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময়  আনোয়ার হোসেন নামে একজন বিএনপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে, বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে গত রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মহামুনি থেকে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাজারে আসার প্রাক্কালে আমতল এলাকায় আসলে মিছিলে কে বা কারা ঢিল মারে। এতে উশৃংঙ্খল কর্মী সর্মথকরা উত্তেজিত হয়ে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। এ সময় ৪/৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ১টিতে আগুন দেওয়া হয় । এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজীদা শরমিন রবিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলা সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করে । পরে পুলিশ বাজার ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জন হরতাল সমর্থককে আটক করে।  

এ ঘটনায় রাতে ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২টি মামলা করা হয়। মামলা নং ৪ এ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামী করা হয়। মামলা নং ৫ এ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ৯ জনকে উভয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ গতকাল তাদের আদালতে প্রেরণ করে।

এদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ করিম বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পথসভায় আওয়ামীলীগের কতিপয় উশৃংখল কর্মীরা ঢিল মারার ঘটনায় অনাকাংখিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দাবী করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, হরতাল সমর্থকরা বিনাউস্কানিতে আমতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও মোটর সাইকেলে আগুন দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ফলে পুরো উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

মানিকছড়ি থানার ওসি কেশব চক্রবর্তী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো উপজেলায় ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন