মানিকছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে বাঁচাতে প্রাণ গেল সিএনজি যাত্রীর

fec-image

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি সরকারী কলেজ সংলগ্ন মহাসড়কের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে বাঁচাতে গিয়ে পিছনে থাকা আম ভর্তি ট্রাকের চাকার পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেলে অন্তু সরকার (২১) নামের এক যুবকের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ভারসাম্যহীন ওই নারীসহ ৩জন। দুর্ঘটনায় কবলিত ঘাতক ট্রাক ও সিএনজি উদ্ধারের কাজ চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার গুইমারা উপজেলাস্থ বড়পিলাক আম বাগান থেকে আম ক্রয় করে সিএনজি (নং চট্টগ্রাম-থ ১৩-৩৮৩২) যোগে বাড়ি ফিরছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর অন্তু সরকার (২১), পিতা-আনিস সরকার, মাতা-শীলা সরকার। একই সময়ে একই এলাকা থেকে জনৈক রুহুল আমিন (৩২), পিতা-বদিউজ্জামান ও মো. মতিউর রহমান (১৮) পিতা. মো. ইউসুপ মিয়া ট্রাক ভর্তি আম নিয়ে (চট্ট মেট্রা-ন- ১১-৮২৪৯) চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। ২৭ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারী ডিগ্রি কলেজ ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় মাঝামাঝি মহাসড়কে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতী রাস্তায় এলোপাতারী ঘুরাঘুরি করায় সিএনজি চালক ওই যুবতীতে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় সিএনজি চালকের পাশে থাকা আম ক্রেতা অন্তু সরকার (২১) গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে গেলে পিছনে থাকা ট্রাক চালক তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলেও ট্রাকের নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে অন্তু সরকার ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় ট্রাকটি রাস্তার ডানপার্শ্বে আড়াআড়ি হয়ে উল্টে যায়। আহত হয় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী সুফিয়া বেগম (২৪), পিতা-আবুল কালাম, সাং মরাডলু, মানিকছড়ি।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ট্রাকে থাকা আম বিক্রেতা আহত মো. রুহুল আমিন জানান, একই এলাকা থেকে আম নিয়ে ওরা সিএনজি যোগে হাটহাজারী এবং আমরা ট্রাকযোগে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম। এখানে আসা মাত্র পাগল এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ি দুইটি নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে কি যেন হয়ে যায়। আর কিছু মনে করতে পারছিনা।

খবর পেয়ে থানার এস.আই মো. মাহাদী হাসান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহনুর আলম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মহি উদ্দীন জানান, আহত ৩জনই কম-বেশি গুরুত্বর তাই তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরী কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো/ শাহনুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলে দুর্ঘটনাটি কীভাবে হয়েছে তা এক্ষুনি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। আরও প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য দরকার। দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ি দুইটি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ উদ্ধারের কাজ চলছে। লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। আইনগত পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন