parbattanews

মানিকছড়িতে মিশ্র ফলদ বাগান পরিদর্শনে কৃষিবিদ

খাগড়াছড়ির পাহাড়জুড়ে সৃজিত ফলদ বাগানের মিষ্টান্ন আম, মাল্টা ও ড্রাগনের সুস্বাদু ফল ইতোমধ্যে দেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। এরই মাঝে মিশ্র ফলদ বাগানে বারোমাসি কাটিমন আমের সফল চাষ ও বাণিজ্যিক বাজারজাত শুরু করেছে মানিকছড়ি উপজেলার ‘সুখী এগ্রো পার্ক’।

প্রথম মৌসুমেই ১ হাজার গাছ থেকে ৭ মে.টন আম বাজারজাত করতে সক্ষম হয়েছেন সৌখিন বাগান মালিক এনামুল হক। বারোমাসি আমের সফলতার খবরে বাগান পরিদর্শন করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের খাগড়াছড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কিশোর কুমার মজুমদার।

উপজেলা কৃষি অফিস ও বাগান মালিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২২৪ নম্বর কুমারী মৌজার বড়টিলা এলাকায় ২০ একর টিলা ভূমির ঢালুতে মিশ্র ফলদ বাগান সৃজন করেন এনামুল হক নামক এক সৌখিন ব্যক্তি। ২০১৬-১৭ সালের পর ১ হাজার মিষ্টান্ন মাল্টা, ১ হাজার বারোমাসি কাটিমন আমের চারা দিয়ে মিশ্র ফলের বাগান সৃজন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০-২১ সালে ৪ হাজার পিলারে ১৬ হাজার ড্রাগন চাষ করেন এই সৌখিন উদ্যোক্তা এনামুল হক।

এর পর কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে মিশ্র ফলদ বাগান পরিচর্যাও আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে কৃষিবিদের নিয়মিত নজরদারী ও পরামর্শ নিয়ে ৬ বছরেই বাগানটিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে নিতে সক্ষম হন এনামুল হক। প্রথমে মাল্টা বাজাজাত করে সফলতার দ্বার উন্মোচিত হয় তাঁর। চলতি মৌসুমে বারো মাসি কাটিমন আম উৎপাদন হয় ৭ হাজার কেজি, ড্রাগন ১০ হাজার কেজি! আমের ভরা মৌসুমে কেজি ২শ টাকা এবং বর্তমানে ৪০০ টাকা আর ড্রাগন ছোট সাইজ ২৫০ টাকা, বড় সাইজ ৩০০ টাকা হারে পাইকারী বিক্রি করেন। বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ বারো মাসি কাটিমন আম গাছে ফুল-ফলে একাকার।

সৌখিন বাগান মালিকের এই কৃতিত্ব ও সফলতার খবর জানতে পেরে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর সকালে সরজমিন পরিদর্শনে আসেন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় খাগড়াছড়ি জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কিশোর কুমার মজুমদার।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ ও বাগান মালিক এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version