মানিকছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই কাঠ উদ্ধার

IMG_6172

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি : 

মানিকছড়ি উপজেলার আন্তঃসড়কে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চলছে অবৈধ কাঠ পাচার। ফলে উজার হয়ে যাচ্ছে মানিকছড়ির বনাঞ্চল। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। পারমিটবিহনী কাঠ পাচাররোধে মাঠে সেনাবাহিনীর অভিযান চললেও বন বিভাগ ছিল অনেকটা নিরব। 

রবিবার যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় বনবিভাগ এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে সাড়ে চার হাজার ঘনফুট চোরাই কাঠ উদ্ধার করেছে। আটক কাঠের আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধ কোটি টাকা। এ নিয়ে বনবিভাগে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

স্থানীয় বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, মানিকছড়ির আন্তঃসড়ক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ীর একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে কাঠ পাচার করে আসছে। এতে করে দিনের পর দিন উজার হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা। পার্বত্যাঞ্চলের বনজ সম্পদ রক্ষায় সেনাবাহিনীর একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে থাকেনি পাচারকারীর চক্রের কার্যক্রম। তারা ছিল অধরা।

রবিবার সকাল ৯টায় গাড়ীটানা বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা অবৈধ কাঠের ডিপোর সন্ধান পেয়ে তা উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চায়। ফলে সিন্দুকছড়ি জোনের সেনাবাহিনী, মানিকছড়ি পুলিশ, গচ্ছাবিল ২৯ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা  উপজেলার গচ্ছাবিলস্থ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেগুন, আকাশি, গামারী, গোদাসহ সাড়ে চার হাজার ঘনফুট গোল কাঠ জব্দ করে বন বিভাগে হস্তান্তর করেন আটক কাঠগুলো চেয়ারম্যানের ছেলে মো. শফিকুল ইসলামের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

দুপুর ১টায় সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আটক কাঠগুলো স্তুপ করে ফরেস্ট অফিসারসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা তা ট্রাক ও জীপে তুলে গাড়ীটানা বনবিভাগে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। এ সময় আটক কাঠের বিষয়ে জানতে চাইলে গাড়িটানা রেজ্ঞ কর্মকর্তা, ননী গোপাল দাস বলেন, আটক কাঠের পরিমাণ সাড়ে চার হাজার ঘনফুট। এ বিষয়ে ৫টি মামলা দায়েরসহ আরো কাঠ আটকের চেষ্টা চলছে।  

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে.কর্নেল রাব্বি আহসান জানান, অবৈধ কাঠের খোঁজ পেয়ে বনবিভাগ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়ায় যৌথবাহিনী তা আটক করতে সহযোগিতা করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন