স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণে দেশব্যাপি স্বাস্থ্য সহকারীদের টানা কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে তৃণমূলে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলনে থাকায় শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বর্তমান বেতন স্কেল পরিবর্তনে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরবর্তীতে ২০১৮ ও ২০২০ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি থাকা স্বত্ত্বেও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেল যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ এ পদোন্নতি না করায় স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের মাঝে দীর্ঘদিন ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ফলে গত ২৬ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপি স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণে টানা কর্মবিরতিতে নেমেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ হেল্থ ইন্সপেক্টর সেক্টোরাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে উক্ত কর্মবিরতিতে নেমেছে। ফলে তৃণমূলে(মাঠ পর্যায়ে) টিকাদান কর্মসূচিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে টিকাদান কর্মসূচির আওতাধীন শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস চত্ত্বরে ব্যানার টাঙ্গিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন’র সভাপতি দীপংকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম জানান, আমাদের নিয়োগবিধি ও বেতন বৈষম্য দূরিকরণে সরকার প্রধান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পূর্বঘোষিত ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মবিরতিতে নেমেছি। যতক্ষণ দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে।