parbattanews

মানিকছড়িতে ৫৯ লিটার চোলাই মদ জব্দ

মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির উপজাতী পল্লীতে অহরহ চোলাই মদ তৈরি হয়। এ সুযোগে স্থানীয় এবং সমতলের মাদকসেবীদের কাছে বাংলা মদের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। ফলে নানা কৌশলে মদ ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মদ সংগ্রহ করেন প্রতিনিয়ত।

২৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার সীমান্ত এলাকা নয়াবাজার সেনাক্যাম্প ও পুলিশ ক্যাম্পের যৌথ চেক পোস্টে যাত্রীবাহি গাড়ি তল্লাশী করে ৫৯ লিটার চোলাই মদ আটক করেছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সীমান্তঘেষা উপজেলা মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির উপজাতী পল্লীতে বাংলা মদ (চোলাই) তৈরির সুযোগে আশে-পাশের মাদকসেবী ও সমতলের ক্রেতাদের কাছে এ মদের কদর রয়েছে। ফলে স্থানীয় ও সমতলের অনেক পাইকার পাহাড়ে এসে সু-কৌশলে এসব মদ সংগ্রহ করে। আবার স্থানীয় মাদকসেবীরাও তা সেবন করে থাকেন।

যদিও প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে পূর্বের ন্যায় মাতাল মাদকসেবীদেরকে রাস্তা-ঘাটে দেখা যায় খুবই কম। তাই উৎপাদনকারীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে থাকে। আর সময়-সুযোগ বুঝে চলে আসে সমতলের পাইকাররা।

২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে লক্ষ্মীছড়ি সেনাবাহিনীর নয়াবাজার সেনাক্যাম্প ও বিদেশীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত নয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য নয়াবাজারস্থ চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাস-সিএনজিতে তল্লাশি জোরদার করেন।

প্রথমে বেলা ২টায় ২৮ লিটার চোলাই মদসহ আটক করা হয় মো. রাশেল(৩০), পিতা. মারফত উল্লঅহ আহম্মদ, সাং- মাইচচর, সুধারাম, নোয়াখালিকে। আবার বিকাল ৫টায় ৩১ লিটার চোলাই মদসহ আটক করা হয় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের দিলীপ কুমার দে’র ছেলে নয়ন কুমার দে(২৫)কে। আটকের পরপর উদ্ধারকৃত মদ ও আটক ব্যক্তিদের মানিকছড়ি থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলঅ রুজু’র প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version