parbattanews

মানিকছড়িতে ৭ মার্চ উদযাপন

বঙ্গবন্ধু’র ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নি মশাল যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল। যার সামনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী টিকে থাকতে পারেনি। সেই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই সাড়া দেয়নি, সারা বিশ্বেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথে দাঁড় করিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনাও দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বাংলাদেশ আ.লীগ কর্তৃক আয়োজিত পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা, কেক কাটা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ২০২১ এর ৭ মার্চ বিগত সময়ের তুলনায় ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপনের লক্ষ্যে এবার দেশব্যাপি প্রশাসন, পুলিশ, রাজনৈতিক দল, শিক্ষক সমাজ পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা সভা, কেক কাটা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

দিবসের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন মানিকছড়ি উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। এর পর বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে নতুন প্রজন্মদের উদ্বুদ্ধ করেন নেতারা।

পরে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও আবৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং বিকেল ৩টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন।

উপজেলা প্রাণি সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. সূচয়ন চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বাবুল, সহকারী কমিশনা (ভূমি) রিফাত আসমা, অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

বিকাল সাড়ে ৪টায় থানা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কেক কাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। প্রথম পর্বে কেক কাটা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেযারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ. রাজ্জাক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বাবুল, সহকারী কমিশনা (ভূমি) রিফাত আসমা, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাদিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।

অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন অতিথিদের নিয়ে ঐতিহাসিক দিবসে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। ২য় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. আবদুল মতিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সফিউল আলম চৌধুরী, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাদিকুর রহমান সিফাত ও প্রধান অতিথি এম.এ. জব্বার।

এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু’র ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নি মশাল। যা বিস্ফোরিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল। যার সামনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী টিকে থাকতে পারেনি। সেই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই সাড়া দেয়নি, সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতিকে মুক্তির পথে দাঁড় করিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনাও দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা সেই ঐতিহাসিক ভাষণের আর্ন্তজাকিত স্বীকৃতি পেয়েছি।

Exit mobile version