parbattanews

মানিকছড়ির কোরবানীর বাজারে বেচা-কেনায় মন্দা, খামারী ও কৃষকরা পুঁজি নিয়ে চিন্তিত

 

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এবার কোরবানীর হাটে বেচা-কেনায় মন্দাভাব বিরাজ করছে। ফলে খামারী ও কৃষকরা পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম।

শনিবার ছিল মানিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাজারে হাটবার। রাজবাড়ীর পার্শ্বে নদীর চরে বিশাল চর জুড়ে বসেছে গরুর হাট। ভোর হতে না হতে স্থানীয় খামারী ও কৃষকরা পালিত হাজার হাজার গরু নিয়ে বাজারে সমবেত হলেও বিকাল পর্যস্ত ১৫% গরু বেচা-কেনা হয়েছে গত বছরের চেয়ে ৩০% কম বাজার মূল্যে! ফলে খামারী ও কৃষকরা পুঁজি নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। শনিবারের বাজারে উঠা সবচেয়ে বড় ষাঁড়টি বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মূল্যে। যেটি গত বছরের চেয়ে অন্তত ৪০ হাজার টাকা কমমূল্যে।

গরুটির বিক্রেতা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবদুল মান্নান এর বড় ভাই আবদুল মালেক। তিনি জানান, গত বছর কোরবানীর বাজার থেকে ৭২ হাজার টাকায় ক্রয় করা গরুটিকে প্রাকৃতিক ঘাস, কুড়া, খৈল ও ভূষি খাইয়ে এটি ঘরে রেখে লালন-পালন করেছি। দৈনিক গরুটির পেছনে ২ শত টাকার উর্ধ্বে ব্যয় হয়েছে। সে অনুযায়ী লাভ হয়নি। এভাবে দেশী গরুর বাজার কমে গেলে পূঁজি হারানোর আশংকায় খামারী ও কৃষকরা গরু পালনে আগ্রহ হারাবে।

আর বাজারের সেরা গরুটি কিনেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যোগ্যাছোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন। অন্যান্য বছর চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লার পাইকাররা এখানে এসে কোরবানীর গরু কিনলেও এবার শুধু চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ি, নাজিরহাট থেকে কিছু পাইকার এসেছেন।

ফলে পাহাড়ের গরু এবার সমতলে তেমন যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম থেকে আসা পাইকার মো. জমির আলী জানান, সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতের গরু আসার কারণে দেশী গরুর চাহিদা নেই। তারপরও দেশী গরুর মাংস স্বাদ এবং প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠার কারণে বিত্তশালী ব্যক্তিরা পাহাড়ের দেশী গরু দিয়ে কোরবানী করেন।

আগামী রবিবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার উপজেলার তিনটহরী ও মানিকছড়ি বাজারে কোরবানীর হাট বসবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম।

এদিকে বাজারের আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দীন খান বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে একাধিক পুলিশ টিম মোতায়েন করেছেন।

Exit mobile version