parbattanews

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান তল্লাশীতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অনুসন্ধান অব্যাহত

full_1253591164_1394868242

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান তল্লাশীতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ও দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট (এমপিএ) তাদের সার্বণিক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার থেকে বিএনএস ওমর ফারুকের পরিবর্তে নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ‘সমুদ্রজয়’ অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, অনুসন্ধান কার্যক্রমে নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরের নিজস্ব এলাকাকে মোট ৮ টি ভাগে বিভক্ত করে নিখোঁজ বিমানের সম্ভাব্য গতিপথ বিবেচনায় দণি পূর্বাঞ্চল দিক থেকে অনুসন্ধান কাজ শুরু করে। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে জাহাজ এবং এমপিএ সর্বমোট ২৬,৬৮১ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকা অনুসন্ধান চালায়। পরবর্তী তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনে একইভাবে সর্বমোট ৩১,৯৩০ বর্গ কিঃ মিঃ এবং পঞ্চম দিনে ২৮,৪৪৮ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকা অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। বঙ্গোপসাগরে এযাবৎ ৮৭,০৫৯ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকা অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্র এলাকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ও সুষ্ঠুভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।

নৌবাহিনীর প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, নৌ অপারেশান্স পরিদপ্তরের পরিচালক কমোডর সৈয়দ মকছুমুল হাকিম, (এনডি), এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌ গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক কমোডর এম রাশেদ আলী, (ট্যাজ), পিএসসি, বিএন।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশান্স) রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, (জি), এনডিসি, পিএসসি ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই গত ১৪ মার্চ মধ্যরাত হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ওমর ফারুক মালয়েশিয়ার বিমান অনুসন্দ্বানে কার্যক্রম শুরু করে। পরদিন থেকে নৌবাহিনী জাহাজ বঙ্গবন্ধু এবং দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এ কাজে যোগ দেয়। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট এবং দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এর সমন্বয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স এর যাত্রীবাহী এমএইচ-৩৭০ (বোয়িং ৭৭৭) বিমানটি ২ শিশুসহ ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রুসহ স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ৪০ এ বেইজিং এর উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। রাত ১ টায় শেষ যোগাযোগের পর বিমানটি আনুমানিক রাত ২ টা ৪০ হতে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটির সব ট্রান্সপন্ডার এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এর পরবর্তী গতিপথ এবং অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভবপর হয়নি বলে জানা যায়।

তবে সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিমানটি তার পরিকল্পিত গতিপথ থেকে সরে গিয়ে পশ্চিম দিকে অথবা দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমে দিক পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে উত্তর পশ্চিমের গতিপথ বঙ্গোপসাগর এর ওপর দিয়েও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Exit mobile version