মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে গোপন ঘাঁটি বানাচ্ছে চীন, ভারতের উদ্বেগ

fec-image

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মিয়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ কোকো- যা সব সময় চীন ব্যবহার করে বলে সন্দেহ করা হয়। কোকো দ্বীপ ভারত নিয়ন্ত্রিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কোলঘেঁষে অবস্থিত। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ফুটেজে দেখা যায়, এই দ্বীপে সামরিক স্থাপনা আধুনিকীকরণ এবং বিমান পরিচালনার জন্য সুযোগ সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে।

স্যাটেলাইট ইমেজারি সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজিসের গত জানুয়ারি থেকে তোলা ছবিতে কোকো দ্বীপপুঞ্জে নির্মাণ কার্যক্রমের নতুন মাত্রা প্রকাশিত হয়।

এই সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউট চ্যাথাম হাউস। যার সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত। ওই নিবন্ধনে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন এবং পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ জন পোলক লিখেছেন, ছবিতে বিমান রাখার নতুন দুটি বড় স্থাপনা, একটি নতুন রাস্তা এবং একটি আবাসন ব্লক নির্মাণ করার চিত্র দেখা গেছে। আর এইগুলো সবই নতুনভাবে প্রসারিত প্রায় ২৩০০ মিটার রানওয়ে এবং রাডার স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, মার্চের শেষ দিকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায় কোকো দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে দ্বীপগুলোর আন্তঃসংযোগের রাস্তার বাইরে ভূমি পরিষ্কার করা হয়েছে। যা সামনের দিনগুলোতে নির্মাণ কাজ চলবে বলে ধারণা।

কোকো দ্বীপটি মিয়ানমারের অন্য দ্বীপগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাত্র ৫৫ কিলোমিটার উত্তরে এর অবস্থান। কোকো দ্বীপে অন্তত গত দুই দশক ধরে চীনা উপস্থিতি রয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, চীনাদের সবসময় সন্দেহ করা হয় কোকো দ্বীপে তাদের গোয়েন্দা স্থাপনা রয়েছে- যার মাধ্যমে বিশেষ এক ধরনের রাডার ও শ্রবণ কেন্দ্র পরিচালিত হয়। আর ওই গোয়েন্দা স্থাপনা গত বছর হালনাগাদ করা হয় এবং তা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ ভারতের প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে নজর রাখতে সক্ষম।

ভারত সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক বজায় রেখেছ। তবে বেসামরিক সরকার থেকে সামরিক জান্তা দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান প্রমাণও বলছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বেইজিংয়ের প্রভাব বেড়েছে। সূত্র: দ্য প্রিন্ট

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন