parbattanews

মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া শুরু করবে চীন

মিয়ানমারের বিদ্রোহী জোট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াবতীর দখল নেয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে মিয়ানমারের বাণিজ্যের বেশিরভাগটাই হয় এই

মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে দেশটির বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই জোরাল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে সামরিক মহড়া শুরুর কথা জানিয়েছে চীন। যদিও তারা এই মহড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধাবস্থার কোনো সম্পর্ক থাকার বিষয়ে কিছু বলেনি।

বুধবার থেকে ওই মহড়া শুরু হবে। যেখানে চীন আকাশ সুরক্ষা এবং লাইভ-ফায়ার মহড়া করবে। এ মাসে দ্বিতীয়বার চীন এ ধরণের মহড়া করতে চলেছে।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী গত সপ্তাহে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াবতীর দখল নেয়। থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে মিয়ানমারের বাণিজ্যের বেশিরভাগটাই হয় মায়াবতী শহরের উপর দিয়ে। যে কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ সপ্তাহে শহরটি পুনর্দখলের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি-র খবরে বলা হয়, বার্ষিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ সপ্তাহে চীনের সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড মহড়া করবে।

“চীনের সৈন্যরা সব সময় জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, সীমান্ত স্থিতিশীলতা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকে।”

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপর দেশের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে এবং জান্তা সরকারের হাত থেকে ধীরে ধীরে ক্ষমতার লাগাম বেরিয়ে যাচ্ছে। গত বছর অক্টোবরে জান্তা বিরোধীরা দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে আগে থেকেই সক্রিয় নানা আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট গঠন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে।

যে যুদ্ধে তারা বেশ খানিকটা অগ্রসর হয়েছে এবং মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সীমান্ত অঞ্চল ও শহরের দখল পেয়েছে। তবে যুদ্ধের কারণে বহু বেসামরিক মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

চীন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। বেইজিং এ বছর জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি আলোচনাও শুরু করতে পেরেছে। তারপর থেকে মিয়ানমারের চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চল বাকি দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে শান্ত হয়ে আছে।

Exit mobile version