parbattanews

মিয়ানমারবিরোধী খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত জাতিসংঘে

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ, ২৭ অক্টোবর- মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপ বাড়াতে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। প্রস্তাবে নিষেধাজ্ঞার মতো শক্ত কোনো  পদক্ষেপের কথা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বলা হয়নি। তবে রাখাইন প্রদেশে অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

খসড়া প্রস্তাবটিতে আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসার সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দাও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাবশালী দুই সদস্য যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি করেছে। ছয় পৃষ্ঠার খসড়ায় মিয়ানমারের প্রতি কোনো ধরনের অবরোধ অথবা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে দেশটির সরকারের প্রতি বেশ কিছু স্পষ্ট দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের এক কূটনীতিক বলেছেন, চীনের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও উদ্ভূত রোহিঙ্গা সঙ্কটে এই খসড়া প্রস্তাবই হবে জাতিসংঘের  শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া। তারপরও এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তারা আশাবাদী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা পরিষদের এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, চীনের বাধার মুখে পড়ে ওই খসড়া প্রস্তাব। ওই কূটনীতিক জানিয়েছেন, ‘চীন যথার্থ অবস্থানে নেই’। ‘তারা চায় আমরা এই বিষয়ে কিছুই না বলি।’

কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, চীন নিজেও চায় মিয়ানমার রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আমলে নিক। তারা সহিংসতার অবসানও চায়। তবে এই প্রসঙ্গে মিয়ানমারের সাথে তারা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পক্ষে।

১৩ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে তিনটি বিষয়ে ঐকমত্য হলেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব আনার ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়নি। কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সে সময় জানায়, ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন আর রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সঙ্কট নিরসনে কোনো প্রস্তাব আনার ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়।

আগেও দুই দফায় চীন-রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে মিয়ানমারবিরোধী প্রস্তাব আনতে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা পরিষদ। কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও আনান কমিশনের প্রধান কফি আনান পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর ওই উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।

সূত্র: এএফপি ও এপি

Exit mobile version