parbattanews

মিয়ানমারের গুলি এসে পড়ল তুমব্রু গ্রামের ঘরের চালে

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় দুই দিনে ২টি একে-৪৭ রাইফেলের গুলি এসে পড়েছে সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু পাড়ার দুটি ঘরের চালে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোররাতে তুমব্রু মধ্যমপাড়া মূত মীর আহমদ মাস্টারের ছেলে জয়নাল আবেদীনের বাড়ির রান্নাঘরের চালে একটি গুলি পড়ে।

এর আগে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রথম গুলিটি এসে পড়ে তুমব্রু বাজারে নুর মেহের ডিপার্টমেন্ট স্টোরের টিনের উপর। উভয় ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

তবে সোমবার সকাল ৮টার আগ পর্যন্ত গত ৩৬ ঘণ্টা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয় এ সীমান্তের বসবাসকারীরা।

তাদের মতে, মিয়ানমার থেকে আসা আওয়াজের মধ্যে মর্টার শেল ও একে-৪৭ রাইফেলের গুলির শব্দ। যাতে এলাকাবাসী তটস্থ।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, দু’দিনে ২ টি গুলি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের তুমব্রু বাজার ও তুমব্রু মধ্যম পাড়ায় এসে পড়েছে। যদিও এতে হতাহত হয়নি কেউ । তবে লোকজন আতঙ্কি এ সব ঘটনায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয় বলেন, বিষয়টি জেনেছেন। যা উপরস্থ কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্নেল সাইফ ইসলাম চৌধুরী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারে সংঘর্ষ চলে আসছে। যা তাদের আভ্যন্তরিণ বিষয়। তবে গত ২ দিনে যা ঘটেছে তা একটু ভিন্ন মাত্রার। তবে এপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সরকার বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার তুমুল সংঘর্ষ চলে আসছে গত ২ বছর। এ সময়ের মধ্যে দফায দফায় গোলাগুলিতে কয়েকবার গোলা ও মর্টার শেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে। এর আগে ২০২২ সালে ১৬ সেম্টেম্বর রাত ৮ টায় পরপর ২ টি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু গ্রামে। যার একটি পড়ে বাংলাদেশী নাগরিক ও কোনার পাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম ড্রাইভারের বাড়ির পাশে। অপর ১ টি পড়ে তৎসময়ের শূন্য রেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পড়া গোলাটিতে আহত হয় অন্তত ৮ জন। যাদের মধ্যে ১ জন মারা যায়। তার নাম মোহাম্মদ ইকবাল (২৮)পিতা মনির আহমদ ।

Exit mobile version