parbattanews

মিয়ানমারের দু’বাহিনীর সঙ্ঘাতের সুযোগে সীমান্তে চোরাকারবারিরা বেপরোয়া

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তজুড়ে সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যকার দীর্ঘ সঙ্ঘাতের সুযোগে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চোরাকারবারিরা বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। উভয় দেশের কারবারিরা চোরাচালানে অধিকতর মনোযোগী হয়ে পড়েছে। দু’দেশের সীমান্ত জেলাসমূহে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের ব্যবহার, পাচার ও অন্যান্য চোরাচালান কারবার। ফলে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের সিটুয়ে জেলা ও মংডু জেলায় বাংলাদেশ মিয়ানমার স্থল ও জল সীমানায় গোয়েন্দাভিত্তিক তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপগুলো সংক্রিয় অস্ত্র সহকারে সীমান্ত এলাকায় এবং মংডুর উত্তরে নতুনভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করছে । বিদ্রোহী গ্রুপের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সরকার বর্তমানে সামরিক জনবল বৃদ্ধিসহ যেকোন ধরনের সঙ্ঘাত মোকাবেলা করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে দু’বাহিনীর সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ৩২ নম্বর পিলার খেকে ৫২ নম্বর সীমান্ত পিলারের বিস্তৃত এলাকায় চোরাচালান দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দু’বিদ্রোহী গ্রুপ গুলোর মধ্যে আরকার আর্মি ও আরসা অন্যতম। তাদের আর্থিক তহবিল সংগ্রহে অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান কাজে জোর দিচ্ছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো নিশ্চিত করে ।

বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা সুযোগ নিচ্ছে বেশি।

স্থানীয় অনেকে মনে করেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান সিন্ডিকেটকে ধ্বংস না করলে ভবিষ্যতে চোরাচালান সিন্ডিকেট আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঘুমধুম। এ পয়েন্টে বিজিবি জোয়ানরা সতর্ক। টহল জোরদার। নজরদারি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার পরেও যারা চোরাইপণ্য বাংলাদেশে পাচার করছে তা অভিযান চালিয়ে জব্দও করা হচ্ছে। গত ১ মাসে এ ধরনের অভিযানে কয়েক কোটি টাকার চোরাইপণ্য জব্দ করেছে তার জোয়ানরা।

Exit mobile version