parbattanews

মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ঝুলে থাকবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে’র দেয়া অন্তর্বর্তী আদেশ মানছেনা  মিয়ানমার। এ বছর জানুয়ারি মাসে রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে আইসিজে এ অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দেয়।

কানাডার সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এমন মনোভাব ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক মহল। আইসিজের আদেশ মানার পরিবর্তে দেশটি রাখাইন রাজ্যে হত্যা ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে বুধবার (২১ অক্টোবর) এ খবর প্রকাশ করে বলেছে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে অপরাধীদের দায়মুক্তি ও মিয়ানমারের প্রতি আঞ্চলিক সমর্থন অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ঝুলে থাকবে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারেক আহমেদ বলেছেন রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আইসিজের আদেশ মেনে চলতে তাঁর দেশ মিয়ানমারের প্রতি তাঁদের চাপ অব্যাহত রেখেছে।

যুক্তরাজ্যে কানাডার হাইকমিশনার জেনিস শারলেট রোহিঙ্গা নিপীড়নের জবাবদিহির জন্য তাঁর দেশ বৈশ্বিক অঙ্গনে সরব আছে বলে উল্লেখ করেন। আশিয়ানের সদস্য দেশগুলোকে মিয়ানমারের ওপর প্রভাব খাটিয়ে আনান্য কমিশনের সুপারিশগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য তিনি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান নিকোলাস কমজিয়ান বলেন, তাঁরা তাঁদের এখতিয়ার অনুযায়ী তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও আদালতকে তা সরবরাহ করছেন। আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থায় তিন বছরকে স্বল্প সময় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন সে হিসেবে তারা যখন রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন তখন সেখানে নির্যাতন অব্যাহত আছে।

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের সাবেক স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে তাড়ানোই মিয়ানমারের লক্ষ্য ছিল বলে উল্লেখ করে বলেন দেশটির সেনা বাহিনী এখনো সেখানে অপরাধ করে চলেছে। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য না করার আহ্বান জানিয়ে ইয়াংহি লি বলেন দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান এখনো নিষেধাজ্ঞার বাইরে আছেন।

মিয়ানমারের পুরো সামরিক বাহিনীকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা এবং তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নিয়েছেন কমনওয়েলথেরে মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী এবং প্রখ্যাত আইনজীবী পায়াম আখাভান।

Exit mobile version