মিয়ানমারের সামরিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যায়ে ৩ সেনা কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে
কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় তিন সামরিক কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের সাজার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারে সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা বিরল ঘটনা। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার পর এ সাজার কথা জানাল দেশটির সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার সেনাদের ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনসহ অমানবিক নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো রাখাইনের বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে সেনাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে গু ডার পাইন নামে একটি গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি উঠেছে। শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শালের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই সময় তারা নির্যাতনের কথা স্বীকার করে জানিয়েছিল, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সেনা সদস্যদের ‘নির্দেশনা অনুসরণে দুর্বলতা’ দেখা গেছে।
মঙ্গলবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ অফিস ঘোষণা দিয়েছে, কোর্ট মার্শালে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হয়েছে এবং তিনজনকে সাজা দেয়া হচ্ছে। তবে দোষীদের অপরাধের ধরন বা তাদের সাজার পরিমাণ কী, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।