parbattanews

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী যুদ্ধে এক রাজ্যের রাজধানী দখলের পথে বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে জান্তা বাহিনী আরেকটি বড় পরাজয়ের মুখোমুখি। এবার জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইক্যাও দখল করে নেওয়ার পথে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি জানিয়েছে, কায়াহ প্রদেশ থেকে জান্তাকে হটানোর অভিযানের নাম অপারেশন টেট্রা-ওয়ান।

তারা লোইকাও দখল করতে পারলে এটিই হবে প্রথম কোনো রাজ্যের রাজধানী, যা বিদ্রোহীদের দখলে যাবে। তবে জান্তা বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, লোইক্যাও শহর এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইরাওয়াদ্দিকে অপারেশনে অংশ নেওয়া কারেন্নি ন্যাশনালিটিস ডিসেফন্স ফোর্সের সহ-অধিনায়ক মারউই বলেন,’ গত ১১ নভেম্বর থেকে এই প্রদেশে আমাদের অভিযান শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে আমাদের লক্ষ্য লোইক্যাও দখল করা।’

সিঙ্গাপুরভিক্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসও জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও দেশটির বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র অংশের সমন্বয়ে গঠিত এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএওএস) সৈন্যরা লোইক্যাওয়ের দখল নিতে অগ্রসর হচ্ছেন। লোইক্যাওয়ে তীব্র যুদ্ধের কারণে শহরটি থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মূলত ব্যাপক বিমান হামলা ও শহরের ভেতরে তুমুল লড়াইয়ের কারণে তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পিডিএফ ও ইএওএসের সৈন্যরা লোইক্যাওয়ের দখল নিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পর্বতবেষ্টিত এই শহরে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। তবে পিডিএফ যোদ্ধারা জানিয়েছে, জান্তা বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা ও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে বেশির ভাগ বাসিন্দাই শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো লোইক্যাও দখলে এগিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, লোইকাওয়ে সরকারি সৈন্যরা ব্যাপক শক্তি দেখিয়েছে। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধের পরও লোইকাওয়ের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Exit mobile version