parbattanews

মিয়ানমারে মুসলমান হওয়াটাই অপরাধ

23789_1

নিউজ ডেস্ক:
নিজ দেশে (মিয়ানমার) কিংবা সাগরে মৃত্যুর চেয়ে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপাল অনেক ভালো। মিয়ানমারে মুসলমান হওয়াটাই একটা অপরাধ। গত মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর ভীত-সন্ত্রস্ত্র হাসান কাঠমান্ডুর অদূরে রাস্তায় শুয়ে টাইম সাময়িকীকে কথাগুলো বলছিলেন। ২২ বছরের এই তরুণ বৌদ্ধ হামলা থেকে রক্ষা পেতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন নেপালে। তিনি একা নন, আরো অনেক রোহিঙ্গা নেপালে পাড়ি দিয়েছেন। অন্য অনেক দেশেও তারা আশ্রয় নিয়েছে।

আর হাজার হাজার রোহিঙ্গা এখন সাগরে ভাসছেন। এক ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড উপকূলেই ছয়টি নৌকায় অবস্থান করছেন ছয় হাজার উদ্বাস্তু। ইন্দোনেশিয়া সরকার তাদের দেশের মাঝিদের এমনকি এ পর্যন্তও বলেছে, রোহিঙ্গাদের নৌকা ডুবলেও যেন সাহায্য না করে। অন্য দেশও তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না।

তারা সাগরে মরছে, বিনা খাদ্যে, বিনা চিকিৎসায়। কিন্তু তবুও বৌদ্ধ বর্মীদের অসহনীয় নির্যাতনে অতীষ্ট হয়ে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। যারা নেপালে আশ্রয় পেয়েছে, তারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছে। ভূমিকম্পের পরও অনেকে তাদের তাঁবুসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করায় নেপালিদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞ।

অনেকের মতে, রোহিঙ্গারা হলো ‘বিশ্বের অন্যতম নির্যাতিত জনগোষ্ঠী’। আরাকান রাজ্যে বসবাসকারী ১৩ লাখ রোহিঙ্গার জাতীয়তাও নেই। তাদের একমাত্র অপরাধ তারা মুসলমান। নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরেই তারা বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে।

জাতিসঙ্ঘ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরই প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা আরাকান ছেড়েছে।

Exit mobile version