parbattanews

মিয়ানমারে সরকারি-বেসরকারি আর্মির পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ, সীমান্তে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরকান আর্মি কর্তৃক সে দেশের সরকারি ২ সেনা ক্যাম্প দখল ও পাল্টা দখল নিয়ে তুমুল যুদ্ধ চলছে মিয়ানমারের মন্ডুর মেধাই ও ধুপির ঢালার মূখ সেনা ক্যাম্প এলাকায়। গত ২ দিন ধরে আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সেনা ছাউনি দুটি পুনরুদ্ধারে নেয়ার দাবিও করে সরকারি বাহিনীর সেনা সদস্যরা। আর বিরোধী আরকার আর্মির স্বশস্ত্র সদস্যরা দাবি করেন তারা এ ক্যাম্প দুটির সকল গোলাবারুদ ও রশদপাতি তারা নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে রেখেছেন এ দু’দিনে।

এ পাল্টা-পাল্টি বক্তব্যের জের ধরে সৃষ্ট উত্তেজনার জেদে সরকারি সেনা বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্প দু-টি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহী সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা ও তাদের আস্তানা ধ্বংস করতে মর্টারশেল, একে -৪৭ ও মেসিন গান পর্যন্ত ব্যবহার করছে ২ দিন ধরে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির মত গোলার আওয়াজ শুনায় সরকার সেনা সদস্যরা। এতেই গত দু’দিন নতুন আঙ্গিকে গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে বলে জানান বিশ্বস্ত এ সব সূত্র।

এদিকে নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকঢালা, আমতলীর মাঠ, আশারতলী, জামছড়ির সীমান্তের ওই দেশের ভিতরে প্রতিদিন কমবেশি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী আরকান আর্মির মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে বলে সীমান্তে বসবাসরতরা জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে। তারা জানান, শনিবার ভোর ৫টা থেকে ৩৪, ৩৫ সিমান্ত পিলার দিয়ে বিকট শব্দের বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে আসে সীমান্ত জনপদের মানুষের কানে। এই আওয়াজ থেমে থেমে দুপুর দুটা পর্যন্ত চলে। আবার বিকেলেও।

চলমান সীমান্ত সমস্যার কারণে সীমান্ত সড়কের কাজসহ বিভিন্ন মানুষের সীমান্তের কাছাকাছি বহু প্রকার সবজি, ফল বাগানসহ জুম চাষ রয়েছে কিন্তু প্রাণের ভয়ে কেউ বাগানে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, অন‍্য দিনের চাইতে শনিবারে তার আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণের আওয়াজ খুবই কম শুনেছেন এলাকার জনসাধারণ।

Exit mobile version