parbattanews

মিয়ানমারে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে ১৪ বাংলাদেশি

teknaf pic (bgb) 19-5-15 (4)

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ:
মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদের কারাভোগের পর ১৪ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। তার মধ্যে ১১ জন মালয়েশিয়াগামী যাত্রী, ২ জন জেলে ও ১ জন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় আটক হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিজিবি ও মিয়ানমার অভিবাসন বিভাগের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে মংডুতে দুু’ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক শেষে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ করা এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে মিয়ানমারের অভিবাসন বিভাগ।

মংডু শহরে সকাল ৮ টায় টেকনাফ সদর বিওপি বিজিবির সুবেদার মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুস্থ অভিবাসন বিভাগের সহকারি পরিচালক ইউ থুন থুন এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ফেরত আসা নাগরিকেরা হচ্ছে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার তাজিয়াকাটা দক্ষিণপাড়ার এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে আবদুর রহিম, উখিয়া থানার পশ্চিম পালংখালীর বশির আহমদের ছেলে জয়নাল উদ্দীন, একই এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে এবাদুল্লাহ, একই এলাকার নুর হাশিমের ছেলে নুর কবির, ঢাকা জেলার দোহার থানার মুকসুদপুর এলাকার আবু ফুর বাবুল খানের ছেলে মো: রাজিব খান, চট্রগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো: জসীম, চরম্বা ওয়াহিদেরপাড়ার মো: ফজলের ছেলে মো: বাদশা মিয়া বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাবলু খেয়াং এলাকার ইউ মং কো ছেলে ইউ ক্য মং, বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার হাজী গুরামিয়াপাড়া এলাকার মো: জামালের মো: আমিন, সাতকানিয়া থানার বাজালিয়া এলাকার বক্কর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বদি, বান্দরবান জেলার ডুলুপাড়ার জাফর আহম্মেদের মোঃ ইউনুছ, টেকনাফ গোদারবিল এলাকার আব্দুস শুক্কুর ছেলে নুরুল আমিন, টেকনাফ লেদার কালু মিয়ার ছেলে ইউসুফ, নাজিরপাড়ার মৃত জাফর আহমদের ছেলে ছৈয়দ আলম।

ফেরত আসা টেকনাফ লেদার ইউসুফ জানান, ২০০৯ সালে মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে ৮৮ মালয়েশিয়া যাত্রীসহ বিকল ট্রলারটি আটক করে মিয়ানমার নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। পরে মিয়ানমার প্রশাসন তাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়।

Exit mobile version