parbattanews

মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টারশেল ও ভারী গোলাগুলির শব্দ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে মর্টারশেল ও ভারী গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে। এ ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সর্তক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে হোয়াইক্যং ও উখিয়া ইউনিয়নের সীমান্তে ওপার থেকে মর্টারশেল ও ভারী গুলির শব্দ ভেসে আসে।

হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। তিনি আরও বলেন, আমার বসতঘর সীমান্তের প্রায় কাছাকাছি। সীমান্তের কাছে আমার চিংড়ি ঘের রয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টা থেকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থেমে থেমে মর্টারশেল ও ভারী গুলির শব্দ শুরু হয়। ভয়ে চিংড়ি ঘের থেকে চলে আসি। গত বছরও এমন সময় ওপারে এমন ঘটনা ঘটেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা সীমান্তের কাছের মানুষ, এমন ঘটনায় আমরা ভয়ে থাকি। সীমান্তের কাছে বসবাসকারী লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে এক ধরনের আতঙ্ক। এ পর্যন্ত কয়েকশো ভারী অস্ত্রের ফায়ারের শব্দ ও ১০-১২টি মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে। রাত সোয়া ৮টায়ও থেমে থেমে ফায়ার হচ্ছিল।

স্থানীয় জেলে আমির হোসাইন বলেন, সীমান্তের পাশে থাকা চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বুধবারও গিয়েছিলাম, তখন ওপার থেকে থেমে থেমে বিকট ও ভারী গুলির শব্দে ভয়ে চলে এসেছি। গোলাগুলির এ ঘটনা মিয়ানমারের মংডু থানার মৌলভীবাজার, নাইচদং পাড়া, কোমরখালী ও তুমব্রুসহ আশাপাশের গ্রামগুলোতে হচ্ছে বলে ধারণা তার।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, টেকনাফ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দ আমরাও শুনেছি। তবে এ ঘটনায় ভয়ের কোনো কারণ নেই। সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরের ঘটনা। সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ওপারে গোলাগুলির শব্দ আমরাও শুনেছি। এটা তাদের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা সতর্ক রয়েছি।

Exit mobile version