মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবার সাথে স্বর্ণ

fec-image

মিয়ানমার থেকে এদেশে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবার সাথে স্বর্ণের চালানও। গত কয়েক সাপ্তাহের ব্যবধানে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে পৃথক অভিযানে কয়েক কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারীও আটক হয়েছে।

গত পহেলা নভেম্বর রাতে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘুমধুম বিওপির জোয়ানেরা গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ফালংখালী পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে প্রবেশকালে ৪’শ ৭১ ভরি ৯ আনা ৪ রতি স্বর্ণসহ একজন রোহিঙ্গা পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। যার মূল্য ৩ কোটি পনের লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গত ৩০ অক্টোবর টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বরত বিজিবি জওয়ানরা ৫৬ ভরি স্বর্নসহ আরো এক পাচারকারীকে আটক করে। যার আটককৃত স্বর্ণের মূল্য ৩ কোটি ৯লাখ ২০ হাজার টাকা। এভাবে প্রতিনিয়ত মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। যা অধরা রয়েই যাচ্ছে।

এ স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এই রোহিঙ্গা শরণার্থী ইয়াবার পাশাপাশি স্বর্ণের  বড় বড় চালান দেশের অভ্যান্তরে সু-কৌশলে পাচার করেই যাচ্ছে। ফলে সরকার একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে বাড়ছে অবৈধ চোরাই ব্যবসা।

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রতিনিয়িত বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রবেশ করে ইয়াবা স্বর্ণ ও বিভিন্ন পন্যাদি নিয়ে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে যাচ্ছে। এব্যাপারে শরনার্থী ক্যাম্প ও সীমান্ত পয়েন্টে কড়াকড়ি আরোপ করা না গেলে এই শরনার্থীরা ইয়াবা, স্বর্ণ এর পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের চালান এনে এদেশে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের যোগান দিতে পারে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

টেকনাফ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সল হাসান খান জানান, মাদক, স্বর্ণচোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে বিজিবি সদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রোহিঙ্গা, শরণার্থী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন