parbattanews

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বোমাবর্ষণে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ৪‘শ গ্রামবাসী

মিয়ানমারের রাখাইনে গত ১লা মে শুক্রবার সকালে পুন্নাগোয়ান্ শহরতলীর ক্রাঞোকেন্ গ্রাম ও তার আশেপাশের এলাকায় লাগাতার মর্টার শেল বিস্ফোরণ হলে গ্রামবাসীরা প্রাণ ভয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামপ্রধান।

ক্রাঞোকেন্ গ্রামে ১৫০-র অধিক ঘরবাড়ি ও জনসংখ্যা ৫০০-র অধিক ছিল। তারমধ্যে বৃদ্ধ ও অসুস্থ কিছু সংখ্যক গ্রামের মধ্যে রয়ে গেছে, অন্যরা প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামসহ দিকবেদিকে পালিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী একজন বলেন, পুন্নাগোয়ান্ শহরস্থ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৫৫০নং ব্যাটালিয়ন থেকে চালানো হালকা ও ভারি গোলাবর্ষণগুলো আমাদের ক্রাঞোকেন্ গ্রামের ভিতর ও আশেপাশের এলাকায় বিস্ফোরিত হলে সাথেসাথে গ্রামের লোকজন ছুটাছুটি করে।

এতে, জীবন বাঁচাতে আনুমানিক ৪০০জনের অধিক গ্রামবাসী পার্শ্ববর্তী পুন্নাগোয়ান্ শহরতলীর নেট্-তং, কেনথংগ্রী গ্রাম‘সহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়।

রাখাইনে পুন্নাগোয়ান্ শহরতলীর সাংসদ উঃ খাংমংলেট বলেন, শুক্রবার (১ মে) সকালের দিকে পুন্নাগোয়ান্ শহর‘সহ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৫৫০নং ব্যাটালিয়ন হতে এলোপাতাড়ি মর্টার শেল হামলা চালানো হয়। উক্ত ক্রাঞোকেন গ্রামের বা আশেপাশে কারোর সাথে কোন সংঘর্ষবিহীন মিয়ানমার সেনাবাহিনীরা এই হামলার চালিয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তথ্য ও প্রচার কমিটির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ-মিন-তুন ও কর্নেল ওয়িন-জ-উ–কে পার্বত্যনিউজের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।

উত্তর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির চলমান যুদ্ধে নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক একলক্ষ ষাট হাজার অতিক্রম করেছে। উত্তর রাখাইনে যুদ্ধ উদ্বাস্তুদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসার অভাব‘সহ নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত।

অসহায় শরণার্থীদের জন্য কেউ ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসলেও রাখাইন রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরকারের অনুমতি ব্যতিত যুদ্ধ উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের সাহায্য সহযোগিতা করা যাবেনা বলে ২৯ এপ্রিল রাখাইন রাজ্য সরকারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

Exit mobile version