parbattanews

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে

Rebel Kachin Independence Army (KIA) 3rd Brigade soldiers secure an area on Hka Ya mountain in Kachin province on January 20, 2013. Kachin ethnic minority rebels in war-torn northern Myanmar accused the military of launching a fresh attack on January 20, just days after a ceasefire pledge by the country's reformist government. AFP PHOTO

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বা তামতাদাও ও জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপটির মধ্যে যেকোনো সময় লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে বলে কাচিন ইন্ডিপেডেন্টস আর্মি (কেআইএ) শান রাজ্যের কুটকাইয়ের বেসামরিক লোকজনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

১ জুন থেকে কুটকাইয়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও কেআইএয়ের মধ্যে ৫ বার সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সাথে কেআইএয়ের মিত্র তাং ন্যাশনাল আর্মির (টিএনএলএ) সাথেও সংঘর্ষ হয়েছে।

কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বো ইরাবতীকে বলেন, যেকোনো সময় সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। বেসামরিক নাগরিকদের উচিত হবে খুবই সতর্ক থাকা।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও কেআইএর মধ্যে ৬ ও ৭ জুন সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আরেক রাউন্ড সংঘর্ষ হয় মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। এতে কুকতাইয়ের অধিবাসীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।

অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজনের (আইডিপি) ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া কয়েক ডজন লোক কুটকাইয়ে তাদের জাপ আঙ গ্রামে ফিরে গেছে। কোভিড-১৯-এর কারণে তাদের খাবারে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় তারা এখন খাবারে জন্য ছুটছে, খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে। তবে বুধবারে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে তাদের প্রায় ৩০ জন ক্যাম্পে ফিরে যায়।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সৈন্যরা কুটকাইতে ৫ জনকে বাধ্য করে তাদের গাইড হিসেবে কাজ করতে। তারা সন্ধ্য পর্যন্ত তাদের সাথে ছিল। শুক্রবার কোনো সংঘর্ষ হয়নি বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়।

কোভিড-১৯-এর কারণে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার হসেনবি-কাকাই সড়কের পশ্চিমে নামহু গ্রাম থেকে ২,৫০০ মিটার দূরে কেআইএর সাথে সংঘর্ষ হয় বলে মিয়ানমার সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন ইরাবতীকে বলেন।

তিনি দাবি করেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কেআইএ সৈন্যরা ঢুকে পড়র কারণে ওই সংঘর্ষ হয়।

তবে কেআইএ বলেছে, সৈন্য মোতায়েন নিয়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সাথে তাদের কোনো সমঝোতা হয়নি।

নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ঘোষণা প্রদানকারী টিএনএলএ, এমএনডিএএএএ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তারপরও সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হচ্ছে।

Exit mobile version