parbattanews

মুক্তিপণে তিনদিন পর ফিরেছে অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবশেষে ৩ দিনপর মুক্তিপণে অপহৃত ৪ রোহিঙ্গা ফিরেছে ।

টেকনাফের আলী খালী ২৫ নং ক্যাম্প হতে অপহৃত ৫ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৪ জন অবশেষে মুক্তি পণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। এরা হচ্ছেন ব্লক ডি-২০ এর বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (১৮), মো. রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সোলতান (২৪), ব্লক-ডি-২২ এর বাসিন্দা নুর হোছাইনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (৩২)। ৫ জুন সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় তাদের ছেড়ে দেয় অপহরণ চক্রের সদস্যা।

এর আগে শনিবার (৩ জুন) ব্লক-ডি-২১ এর বাসিন্দা শামসু আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (১৬) একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে পরের দিন ক্যাম্পে পাঠিয়েছে মুখোশধারী অপহরণকারী চক্র।

শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার সময় উপজেলার হ্নীলা আলীখালী ২৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাটা তারের বেড়া সংলগ্ন দোকান হতে পাহাড় থেকে নেমে আসা ২০/২৫ জনের স্বশস্ত্র মুখোশধারী দুর্বৃত্ত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ জন রোহিঙ্গাকে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে পরের দিন একটা হাত বিচ্ছিন্ন করে ক্যাম্পের পাশে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ৫ জুন রাতে সর্বমোট ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপর ৪ জনকে ছেড়ে দেয় ।

পরবর্তীতে ক্যাম্প রোহিঙ্গারা তাদেরকে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ হতে উদ্ধার করে এবং আলী খালী আইআরসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা নিয়ে নিজ বসত করে ফেরত যায় ।

আলীখালী ২৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার মাগরিবের নামাজ চলাকালীন দুর্বৃত্তরা ৫ জন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজনকে একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে পাঠিয়ে দিলেও অপর চার জনের কাছ থেকে মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণে বেঁচে আসলেও শারীরিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আবদুল হালিম জানান,” ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী এপিবিএন সদস্য ও থানা পুলিশের একাধিক টিম অপহরণের শিকার রোহিঙ্গাদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেলেও একজন ঘটনার পরের দিন একটি হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এবং অপর ৪ জন রোহিঙ্গা তাদের মত করে ৩ দিন পর ঘরে ফিরে এসেছেন।

Exit mobile version