মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে মহালছড়িতে ভোট গ্রহণে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়িঃ
সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি’র মহালছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন ২০১৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলায় সর্বমোট ১৯টি ভোটের মধ্যে সবগুলি ভোট কাষ্টিং হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলায় মংচাইপ্রু চৌধুরী হাতি প্রতীক নিয়ে ১০ ভোট পেয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ,কে,এম হুমায়ূন কবির সেলাই মেশিন প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯ ভোট। কলার ছড়া প্রতীক নিয়ে কালাসাধু বণিক ৯ ভোট পেয়ে উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল গফুর ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫ ভোট। মো: কামাল পাশা লিচু প্রতিক নিয়ে ৮ ভোট পেয়ে উপজেলা সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মংরুবাই মারমা সুটকেস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ ভোট।
বিকাল ৫ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার লাবনী চাকমা। নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা এ,কে,এম হুমায়ূন কবির । যার ভোটার নং ৪ ও গেজেট নং- ৫১৩। তিনি নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় এর প্রধান সমন্বয়কারী বরাবর লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে আরো অভিযোগ করে বলেন, ভোট বাক্সে ব্যালট পেপার নষ্ট হলেও সেটা বাতিল করা হয়নি এবং নির্বাচনী স্থলে ভোট গণনা না করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভোট গণনা করা হয়। অনুষ্ঠেয় নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করে পূণ:নির্বাচনের ও দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লাবনী চাকমা এবং নির্বাচন অফিসার চৈতালী চাকমা জানান, শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহনকালে কোন অনিয়ম হয়নি। অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপজেলা রিটানিং অফিসার লাবনী চাকমা বলেন, জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরপরও কোন অভিযোগ আসলে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর যা সিদ্ধান্ত আসে সেটাই হবে।