parbattanews

মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে সাজলো রাঙামাটি

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উৎসবের নগরী পরিণত হয়েছে রাঙামাটি।

মঙ্গলবার (১৭মার্চ) সকাল থেকে রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মুজিববর্ষকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে তাদের অগ্রিম ঘোষিত নানান কর্মসূচি পালন করছে।

এইদিন সকালে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ রাঙামাটি শহরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ম্যুরালে জাতির পিতার প্রতি সন্মান প্রদর্শন পূর্বক পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করেন, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।

এর আগে দিবসটির দিনে সংগঠনটি একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল প্রাঙ্গন এসে শেষ হয় এবং অনুষ্ঠানে যোগদান করে। এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

এদিকে রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রাঙামাটি শহরের বনরূপা এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এর আয়োজন করা হয়েছে। চক্ষু শিবির পরিচালনা করছেন, ডা: শেখ মোহাম্মদ মুরাদ।

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এ মহতি উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। ধনী-গরীর আগ্রহী সকল রোগী বিনামূল্যে দিনব্যাপী এ সেবা নিতে পারবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

অপরদিকে চট্টগ্রাম- রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির আয়োজনে যাত্রীদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রুটে যাত্রীরা মুজিববর্ষের দিনে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম- রাঙামাটি রুটে যাতায়াত করতে পারবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

আর মুজিববর্ষের দিনটিতে সকালে জেলা শহরের রিজার্ভবাজারস্থ প্রধান বাস কাউন্টারে এই ফ্রি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় সমিতির সভাপতি ও রাঙামাটি উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেট কেটে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মারিক সমিতির সভাপতি ও রাঙামাটি উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বঘোষিত অনুযায়ী মুজিববর্ষের এইদিনে নিজেদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছিলো।

Exit mobile version