parbattanews

মূল অপরাধি আসামি না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ!

মহেশখালী উপজলোর কালারমারছড ইউনয়িনরে চালিয়াতলীর পাহাড়িঝিরিতে গত ৭জুলাই প্রায় ১২জন সিএনজি ড্রাইবার ও বখাটেরা মিলে এক তরুনীকে রাতভর র্ধষণ করে।

ঘটনাটি শুক্রবার ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। মহেশখালী থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ও মধ্যস্থতার চেষ্টাকারী স্থানীয় ইউপি মেম্বার লিয়াকত আলী, মহিলা মেম্বার খতিজা খানম ও ধর্ষক মনু মিয়াকে আটক করে।

ঐদিন রাতেই মেয়েটি বাদি হয়ে এজাহারভুক্ত ৬জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। শুরুর দিকে মেয়েটির দত্তক মা মাতারবাড়ির মহিলা মেম্বার শামিমা ও সিএনজির লাইনম্যান রশিদের নাম জোরালোভাবে আলোচনা আসলেও অজ্ঞাত কারণে মামলা থেকে তাদের নাম বাধ পড়াতে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকায় শামিমা ও রশিদের বিচরণ দেখে। অনকেইে এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।

অন্যদেিক আলোচতি র্ধষণের ঘটনায় একে একে বেরিয়ে আসছে আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য! নতুন করে বিভিন্নজন জড়িত থাকার কথা ও নাম শোনা যাচ্ছে স্থানীয়দের মুখে মুখে।

স্থানীয়রা প্রথমে ভয়ে মুখ না খুললেও পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত একশন দেথে তাদের মাঝে সাহস ফিরে এসেছে। ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো এরকম অনেকের নাম প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

মধ্যস্থতাকারী হিসাবে শুরুর দিকে লিয়াকত মেম্বার, খতিজা ও শামিমা মেম্বার এবং লাইনম্যান রশিদের নাম উঠে আসলেও মধ্যস্থতার চেষ্টাকারী হিসাবে নতুন করে যোগ হয়েছে নুরুল ছমদের পুত্র আয়ুব আলী, শহিদুল্লাহ, আজিজুল হক কালো নামে আরো কয়েকজনের নাম।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহিদুল্লাহ ঘটনা মিমাংসার কথা বলে জনপ্রতি ধর্ষকের কাছ থেকে ৩হাজার টাকা করে উত্তোলন করে মাতারবাড়ির শামিমা মেম্বার ও লাইনম্যান রশিদের সাথে কয়েকবার স্বাক্ষাত করে বলেও তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান, লিয়াকত ও খতিজা মেম্বার গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আয়ুব আলী, শহিদুল্লাহ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। শহিদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে ঘটনা চারদিকে প্রচার হলে ধর্ষক হিসাবে নাম উঠে আসে মনু মিয়া, ওসমান, আমির সালাম , আদালত খান ও মো. ইউনুস প্রকাশ এনিয়ার নাম।

তবে এজাহারে এনিয়া বাদে যাদের নাম উঠে আসে তারা হলো, মনু মিয়া , ওসমান , আমির সালাম, আদালত খান , লিয়াকত মেম্বার, মহিলা মেম্বার খতিজা সহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয় সাতজনরে নাম।
তবে ধর্ষকদের বিষয়ে আরো তথ্য জানতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এবিষয়ে মহশেখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

অজ্ঞাতনামা আসামি সহ এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আসামীদের আটকের জন্য সহযোগিতা করতে তিনি স্থানীয়দের প্রতি অনুরোধ জানান।

Exit mobile version