parbattanews

মৃদু হাওয়ায় কাঁশফুলের দোল খাওয়ার দৃশ্য মন কেড়ে নেয়

ঋতুপরিক্রমায় আসা শরৎ ঋতু সীমান্ত ঘেঁষা পানছড়িকে সাজিয়ে তোলে অপরূপ সাজে। বর্ষার পানিতে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে ফুটে থাকা শাপলা-পদ্ম, ডাঙায় জুঁই-শিউলি আর থোকায় থোকায় ফোটে থাকা কাঁশফুল যেন শরতের পরিপূর্ণ রূপমাধুরী।

বিশেষ করে পানছড়ি লোগাং চেংগী ব্রীজের পাশেই তারাবন ছড়ার লেন্ডিয়া পাড়া, অভিনাশ পাড়ায় বিশালাকার কাঁশ বাগান। শরতের বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে কাঁশফুলের ছোয়া নিতে নিত্য ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, সাদা আর সবুজের মিলনমেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা চেংগী নদীর বালুর চরে ঘুরে বেড়ানোর সাথে লাফালাফি করার মজাই আলাদা। ডিএসএল’র ক্যামেরা ও মোবাইলে ছবি তুলতে আসা শাহাদাৎ হোসেন মিন্টু ও মুকুল চাকমা জানায়, প্রতিবছরই এই কাঁশবাগানে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে আসে। উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পানছড়ি-তবলছড়ি সড়কের পাশেও থোকায় থোকায় ফুটে আছে কাঁশফুল। বিদ্যালয়ের বিরতির ফাঁকে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, মৃদু হাওয়ায় কাঁশফুলের দোল খাওয়ার দৃশ্য সবার মন কেড়ে নেয়। উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাবুল জানায়, সুযোগ পেলেই বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করে রূপমাধুরীর প্রানবন্ত খেলা।

পানছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি নূতন ধন চাকমা জানায়, শরতের আগমনী বার্তা লগ্নেই প্রকৃতিতে ফিরে আসে সতেজতা। সাদা আর সবুজের সাথে একাত্ম হয়ে পানছড়ির মাঠে-প্রান্তরে ছুটে বেড়ায় কোমলমতি শিশু থেকে বিদ্যালয়, কলেজ পড়ুয়া ও আবাল-বৃদ্ধ বনিতারা। এ সব দৃশ্য উপভোগ এর সত্যিই মজা পাই।

Exit mobile version