parbattanews

মেঘলায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, পাথর উত্তোলন ও বৃক্ষ নিধনের ফলে পাহাড় ধস

Follow Up

জমির উদ্দিন:

পাহাড়ে বৃক্ষ না থাকা, ঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন ও অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের কারণে বান্দরবানে পর্যটন স্পট মেঘলা এলাকায় পাহাড় ধসের কারণ মনে করছে মৃত্তিকা কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানাযায় পর্যটন স্পট মেঘলা এলাকায় পুরাতন রেইচা সড়কের পাশে মালিক উচনু মারমার পাঁচ একর পাহাড় রয়েছে। পাহাড়ে বছর দুই আগে বিভিন্ন জাতের ফলজ চারা রোপন করেছেন। বৃহস্পতিবার তার পাহাড়ের প্রায় আড়াই একরের মত পাহাড় ধসে পড়ে। এছাড়া শাহাজাহান ও সাংবাদিক নাছিরের পাহাড় ধস ও পাহাড়ে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এসব পাহাড়ের পাদদেশে একটি নামে লম্বাঘোনা ঝিড়ি রয়েছে। এই ঝিড়ি থেকে শুষ্ক মৌসুমে অতিরিক্ত পাথর উত্তোলন করে পাথর ব্যবসায়ীরা। পাথর ব্যবসায়ীরা ঝিড়ির পাশাপশি পাহাড়ের পাদদেশে (ঝিড়ির সাথে ঘেষা) পাহাড় গুলো থেকে মাঠি কেটে পাথর উত্তোলন করে। প্রতি বছর পাথর উত্তোলনের জন্য পাহাড় কাটার ফলে পাহাড় ধস হয়েছে বলে মনে করেন মৃত্তিকা কর্মকর্তরা। এছড়ারা ন্যাড়া পাহাড় ও পাহাড়ে বড় বৃক্ষ না থাকার ও কারণ মনে করছে সংলিষ্টরা।
শনিবার দৈনিক সাঙ্গুসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক পাহাড় ধস পরিদর্শনে সাংবাদিদের বলেন, পাহাড়ে বড় বৃক্ষ ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝিড়ি ও পাহাড়ের মাঠি খুড়ে পাথর উত্তোলনের কারণে পাহাড় ধসের কারণ মনে করেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, গত বুধবার মেঘলা এলাকায় চার ঘন্টায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড় ধসের অন্যতম কারন মনে করেন তিনি। তিনি বলেন চার ঘন্টায় ১৯৭ মিলি বৃষ্টিপাত রেকড করেছেন যা গত ১৫ বছরের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে। সাধারনত ২৮-৪৮ ঘন্টায় ২০০ মিলি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকড হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের পাদদেশের ঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন করা ও পাহাড়ে বড় বৃক্ষ না থাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে জুম চাষ করার ফলে পাহাড় ধসের কারন।  
বৃহস্পতিবার বান্দরবানে পর্যটন স্পট মেঘলা এলাকায় বিকট শব্দে পাহাড় ধসে পড়ায় আশাপাশ এলাকার জন সাধারনের মাঝে আতংক দেখা দেয়। এসময় আশেপাশে আরও অনেক পাহাড় ধসে ও পাহাড়ে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়।

Exit mobile version