মে মাসের মধ্যে রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু

11185682_812893405471615_1694336271_n copy
রামগড় প্রতিনিধি :

পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর কার্যক্রম গতিশীল করার  লক্ষ্যে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুর হবে। মঙ্গলবার রামগড় মাহামুনি-ত্রিপুরা‘র সাবরুম সীমান্ত ব্রীজ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান।

রামগড় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারতীয় অর্থায়নে রামগড়-সাবরুম সংযোগ ব্রীজ নির্মাণে দুই দিনের সফরের প্রথম দিন ২৭ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ভারতের প্রতিনিধি দল রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের পর্যালোচনা বৈঠক শেষে রামগড় মাহামুনি-ত্রিপুরা সাব্রুম সীমান্ত ব্রীজ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মো: আবদুল মালেক-কে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যর বাংলােেদশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সদস্য সচিব অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক সওজ মো: আবদুল বাকী মিয়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পওর সার্কেল তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোল্লা মিজানুর রহমান, পররাষ্ট মন্ত্রণালয় (দক্ষিণ এশিয়া) সহকারী সচিব মো: মোরশেদুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরীপ অধিদপ্তর সহকারী অফিসার মো: পারভেজ মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, বিজিবি‘র গুইমারা সেক্টরের জিটুআই মেজর শাহীন ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবাল হোসেন।

অপরদিকে, ভারতের ইঞ্জিনিয়ার কমল সরকার এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রনিধিধি দলে এসডিও ইঞ্জিনিয়ার রাজ কুমার দাস, সাবরুম এসিস্টেন ইঞ্জিনিয়ার পাওমানিক জয়ন্তি, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার নাভিন জয়শাল, এল.এম ভৌমিক, সাবরুম জিএম জৌতিশ দেববর্মা বৈঠক শেষে স্থান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আহবায়ক মো: আবদুল মালেক বলেন, বাংলাদেশের রামগড় মহামুনী এলাকার সাব পিলার ২২১৫-এস এর ৭ থেকে ১০ নং পিলারে মধ্যে ভারতীয় অর্থায়নে সম্ভাব্য ১৮০ মিটার লম্বা সংযোগ সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতুটি বাংলাদেশ স্থলভাগে ৪০ মিটার জলভাগে ১০০ মিটার এবং ভারতের স্থলভাগে ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন