parbattanews

ম্যানচেস্টার সিটির রোমাঞ্চকর জয়, হালান্ডের রেকর্ড

ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে ছিল। বিরতির পর রেকর্ডময় গোলে দলকে খেলায় ফেরান আর্লিং হালান্ড। এরপর ফিল ফোডেন আর হুলিয়ান আলভারেজও গোল পেলে ঘরের মাঠে উৎসব করতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার রাতে ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে আরবি লাইপজিগকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিয়াওলার দল। ৫৪ মিনিটে দলকে খেলায় ফিরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪০তম গোল করেন হালান্ড। মাত্র ৩৫ ম্যাচে এই অর্জন সবচেয়ে দ্রুততম। ৭০ মিনিটে ফোডেন, আর ৮৭ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন আলভারেজ।

অথচ প্রথমার্ধের ১৩ আর ৩৩ মিনিটে দুই গোলে নায়ক বনে গিয়েছিলেন লাইপজিগের বেলজিইয়ান তারকা লুইস ওপেনন্দা। ২০১৮ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোন ম্যাচে ঘরের মাঠে হারের শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল সিটিকে।

বল পজিশনে এগিয়ে থাকলেও খেলার ধারার বিপরীতে হয়ে যায় গোল। ১৩ মিনিটে গোলকিপারের কাছ থেকে মাঝমাঠে বল পেলে অফ সাইড ফাঁদ এড়িয়ে ছুটে গিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ওপেনন্দা। ৩৩ মিনিটে প্রতি আক্রমণে আবার সুযোগ আসে লাইপজিগের। নিজেদের অর্ধ থেকে বল পেয়ে ফাঁকায় ছুটে যান ওপেনন্দা। এক ডিফেন্ডার পেছনে গিয়েও তাকে আটকাতে ব্যর্থ হন, উৎসবে মাতে লাইপজিগ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট রাউন্ড আগেই নিশ্চিত হলেও মাঝের বিরতিতে গার্দিওয়ালার চেহারায় ছিল প্রবল হতাশা। বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে দেরি করেনি সিটিজেনরা। ৫৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বল পেয়ে তীব্র গতিতে বক্সে ঢুকে বাম পায়ের টোকায় জালে জড়িয়ে এই প্রতিযোগিতায় ৪০তম গোল করে উল্লাসে মাতেন হালান্ড।

৭০ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে বক্সের গোড়ায় ফোডেনকে খুঁজে নেন ভার্ডিওল। ইংলিশ তারকা দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। সমতায় ফেরে সিটি।

৮৬ মিনিটে রিকো লুইস জটলার মধ্যে বক্সে যোগান দেন বল। আরেকজনের পা ঘুরে তা ফাঁকায় দাঁড়ানো আলভারেজের কাছে গেলে কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় আদায় করে ফেলে চ্যাম্পিয়নরা।

Exit mobile version