parbattanews

“যা লাগবে নিয়ে যান, যা লাগবেনা দিয়ে যান” তারুন্যের উচ্ছ্বাসে মানবতার দেয়াল

কাউখালী প্রতিনিধি:

এক ঝাঁক তরুনের স্বপ্নময় প্রত্যাশা, সমন্বিত প্রচেষ্টা আর মানুষে ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দূর্বার এগিয়ে চলা। এ যেন কোন এক নতুন সমাজে উদিত লাল সূর্যের হাতছানি। তাদের স্লোগানটাও কেমন জানি অন্যদের চেয়ে অনেটা ব্যতিক্রম। সকল ধর্মের জন্য উন্মুক্ত মানবতা, “যা লাগবে নিয়ে যান, যা লাগবেনা দিয়ে যান”। এমন স্লোগান সামনে নিয়ে কাউখালীর ঘাগড়ার তরুনরা চালু করলো ব্যতিক্রমী মানবতার দেয়াল।

২০১৫ সালে রাঙামাটির কাউখালীতে পঁচাত্তর ভাগ চাকমা অধ্যুাষিত ঘাগড়ায় অর্ধশতাধিক কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুসলিম যুব সমাজ নামে এ সংগঠন। ইচ্ছে শক্তি প্রবল, পথচলা সঠিক থাকলে পঁচিশ ভাগ জনশক্তির পক্ষে পঁচাত্তার ভাগ জনশক্তির সমর্থন আর ভালবাসা আদায় করা যে কঠিন কিছু না তা এ সংগঠনই দেখিয়ে দিলো।

যাত্রার শুরু থেকেই এ সংগঠন তাদের জনশক্তিকে কাজে লাগাতে থাকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের বিরোধী কর্মসূচি, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, ঝড়ে পড়া অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। এ সংগঠনের কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে থাকে উপজাতীয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বী তরুনরাও। সংগঠটির এমন সমাজিক কার্যক্রমে ফলে অল্প ক’বছরেই এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিত হয়ে উঠে।

সবশেষ সংগঠনটি তাদের কার্যপরিধি বাড়িয়ে ৬ ডিসেম্বর থেকে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি চালু করে। ঘাগড়ায় রাস্তার পাশে মসজিদের একটি দেয়ালকে মানবতার দেয়াল হিসেবে আখ্যায়িত করে স্লোগান সাটানো হয় সকল ধর্মের জন্য উন্মুক্ত মানবতা, “যা লাগবে নিয়ে যান, যা লাগবেনা দিয়ে যান”। তরুনদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাহাড়ি বাঙ্গালী ব্যাপক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

এতে দেখাযায়, মসজিদের দেয়ালে টাঙ্গানো হেঙ্গার ও বক্সে যে যার মত করে নতুন-পুরাতন কাপড়, শীতবশ্র, শিক্ষা সামগ্রি সাধ্যমত দিয়ে যাচ্ছেন। আবার যাদের প্রয়োজন তারা নির্দিধায় নির্ধারিত স্থান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়েও যাচ্ছেন।

সংগঠনটির কর্ণধার মো. সাদ্দাম হোসেন খান, মো. শাহরিয়ার হোসেন তারেক, এনাম আহমেদ ও শারিয়ার ইমন রাসেল জানান, ব্যাতিক্রমী এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়ে আমরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। সাধারণ মানুষে সহযোগিতা আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তারা জানান, এভাবে সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আমরা সমাজ উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবো।

Exit mobile version