parbattanews

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব মিয়ানমারের

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মিয়ানমার। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং ক্ষমতাচ্যুত ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি জানানোয় ওই রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

কিয়াও জোয়ার মিন নামের ওই রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং সেখানে গৃহযুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এক মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।

এর আগে জাতিসংঘ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসী বক্তব্য রাখায় মিয়ানমারের বিশেষ দূত কিয়াউ মোয়ে তানকে বহিষ্কার করা হয়। সংস্থাটির এক অধিবেশনে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

সাহসী এই দূত জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যে, তার দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংস্থাটি যেন প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। স্বদেশের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একজন রাষ্ট্রদূতের এমন অবস্থানকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন বিশ্লেষকরা।

সে সময় তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত কোনো দেশেরই মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন।

গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী। এই অভিযোগ এনেই বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও বলছে তারা মিয়ানমারের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। এমনকি দেশটির নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারে পুলিশ হেফাজতে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির আরও (এনএলডি) এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ওই কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করা হয়েছিল। সোমবার মধ্যরাতে এই সাবেক সাংসদকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে সু চির দলের দু’জন নেতা বন্দি অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে মারা গেলেন।

Exit mobile version