parbattanews

যেকোনো সময় আমাকে হত্যা করা হতে পারে: নাজনীন সরওয়ার কাবেরী

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মুনাফ সিকদারের ঘটনায় মামলার পর নিজের ফেসবুকে তীব্র প্রতিবাদসহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।

তিনি লিখেন, যতোই ষড়যন্ত্র হউক, ফিনিক্স পাখির পুনরাবৃত্তির মতো আমাদের জন্ম হবে। কারণ এই মৃত্তিকা, এই জন্মভূমি, আমাদের মা!

কাবেরী লিখেছেন, মোনাফ সিকদারকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় আমাকে দুইনাম্বার আসামি করা হয়েছে। মেয়র ও সম্মানিত জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিব ভাই এক নম্বর আসামি। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলত নাটের গুরুরা আমার নির্যাতিতের পক্ষেশক্ত অবস্থানকে ভয় পায়। জীবনে পিঁপড়া মারিনি, মানুষ কোথা হতে মারবো।

আমি ত্যাগী মানুষের সন্তান ও স্ত্রী
আমি বিসর্জন দিতে জানি। মানুষের জীবন ও অধিকার ফেরত দেয় মহান আল্লাহ। কঠোর সততা আছে বলেই মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে অসহায়ের উসিলা হিসাবে প্রেরণ করেছে। তাই আমি দলমত নির্বিশেষে অধিকার আদায়ের নির্ভীক সৈনিক।

আমি ১৯৮৪ সাল থেকে আজ অবধি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ও গণ মানুষের অধিকার আন্দোলনে কাজ করছি।

গত তিনবার সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কোন সুবিধা ভোগ করিনি, সরকারি বরাদ্দ নিইনি কখনো। বরং আমার কোটি টাকার ব্যবসা নষ্ট করেছি, জনগণের সেবা করতে গিয়ে। আমার দোষও আছে, তা হলো কঠিন সত্য বলা, মিথ্যার চোরাবালিতে পা না দেয়া। এগুলোই আমার কাল।

কারণ, তথাকথিত ক্ষমতাধররা গ্যাং লালন করেও মানুষের আস্থা থেকে বঞ্চিত। তারা আমাকে টার্গেট করে বহুদিন ধরে বহুরকম মিথ্যা মামলায় আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে। অনেক সময় আমাকে না পেরে আমার সাথে থাকা নির্যাতিত বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

যে রাষ্ট্রে আমাকে আসামি বানায়, সে রাষ্ট্রে নিশ্চয়ই খোন্দকার মোশতাকরা বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশেই লুকিয়ে আছে। আজ সে রাষ্ট্রে অনেক বিশ্বস্ত মানুষের প্রয়োজন।

আমি টের পাচ্ছি, আমাকে যে কোন সময় হত্যা করা হতে পারে। ইয়াবা, ভূমিদস্যুতা, দৃর্বৃত্তায়নমুক্ত একটি দেশের স্বপ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার বেতনবিহীন কর্মী হয়েছি।
আমার মতো একজন নগন্য মানুষ মরলে রাষ্ট্রের কি কোন ক্ষতি নেই!”

উল্লেখ্য, আহত মুনাফ সিকদারের বড় ভাই মো. শাহজাহান সিকদার বাদী হয়ে রোববার (৩১ অক্টোবর) সদর থানায় মামলাটি করেন।

Exit mobile version