parbattanews

যে কারণে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সানাই

নতুন জীবন বেশ ভালোভাবেই শুরু করতে চেয়েও তেমন একটা সুখকর হয়ে ওঠে নি আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুবের দাম্পত্যজীবনে। এ জন্য রঙিন দুনিয়া ছেড়ে মন দিয়েছিলেন সংসারে। কিন্তু তা আর হচ্ছে না। অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদের পথেই হাটছেন তিনি। স্বামীর আবু সালেহ মুসার শারীরিক অক্ষমতা এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে আলাদা হয়ে গেছেন তিনি।

সানাই বলেন, ‘‘আমার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কাউন্সিলিংয়ের কাছে নিয়ে গেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বিয়ের রাতেই তার সমস্যার কথা জানতে পারি। বিষয়টি মেনে নিয়ে চিকিৎসা করাই। কিন্তু লাভ হয়নি। সেও অনেক হারবাল ঔষধ খেয়েছে। তাতেও লাভ হয়নি। তার পরিবার তার ব্যাপারে উদাসীন। তারা আমার মিডিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে। তাদের সন্তান অক্ষম জানার পরও আমাকে এভাবেই মানিয়ে নিতে বলে। এভাবে তো আর চলতে পারে না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া।’’

এদিকে সম্প্রতি তার স্বামী আবু সালেহ মুসা সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন- তাকে মারধর করেছেন সানাই। এতে তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার (২ জুন) ফেসবুকেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন সানাই। তার দাবি, তার স্বামীর দাবি সত্যি নয়, তাকে তিনি মারধর করেননি।

এর আগে, গত ২২ মে প্রথম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘বিচ্ছেদ স্বাভাবিক ব্যাপার, জীবনেরই অংশ’ শীর্ষক স্ট্যাটাস দিয়ে ডিভোর্সের ইঙ্গিত দেন তিনি। এর মাঝে ৩১ মে রাত প্রায় ৯টার দিকে ফেসবুক পেজে স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মুসার সঙ্গে ডিভোর্সের অফিশিয়াল কাজ শুরুর কথা নিশ্চিত করেন সানাই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ মে পারিবারিক আয়োজনে কাউকে না জানিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চেয়েছিল সানাইয়ের পরিবার। পরে ঠিকই জানাজানি হয়ে যায়। বিয়ের পরই শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন এই অভিনেত্রী। সানাইয়ের পৈতৃক নিবাস নীলফামারীতে। তার স্বামী মুসার বাড়িও একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুঠি এলাকায়।

Exit mobile version